বিনামূল্যে অনলাইন কৃষি সেবা দিচ্ছে ‘ই-কৃষি ক্লিনিক’
৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:০৯
শেকৃবি: ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়তে কৃষির অগ্রগতি, প্রযুক্তির ব্যাবহার ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে সবরকম সহযোগিতা করছে কৃষি পরামর্শের ডিজিটাল সেবা কেন্দ্র ‘ই-কৃষি ক্লিনিক’। গত বছর ২২ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর পর প্রায় চার শতাধিক কৃষক ও ছাদ বাগানির কাছে সেবা পৌঁছে দিয়েছে ‘ই-কৃষি ক্লিনিক’।
কৃষিনির্ভর অর্থনীতিতে অবদান রাখা দেশের প্রায় তিন কোটি কৃষকের এক বৃহৎ অংশ অধিক উৎপাদনের লক্ষ্যে অতিরিক্ত রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যাবহার করে ফসল ও ফসলি জমির ক্ষতি করেন। তাই পরিবেশ সংরক্ষণে রাসায়নিক সারের বিকল্প হিসেবে জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহিত করা ও সঠিক পরিমাণে সার ও কীটনাশক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। চাষাবাদ সংক্রান্ত সব ধরনের নির্দেশনা ও নিরাপদ কৃষিপণ্য উৎপাদন বাস্তবায়নের জন্য দেশের যেকোনো স্থান থেকে পরামর্শ পাওয়ার মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘ই-কৃষি ক্লিনিক’।
বৈশ্বিক মহামারির প্রভাব যেন কৃষির ওপর না পড়ে তাই দেশের বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীরা কৃষকদের সহায়তা ও সঠিক পরামর্শ দানের জন্য গড়ে তুলেন এ ডিজিটাল প্লাটফর্ম। কৃষক মুঠোফোন, ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো’র মাধ্যমে সহজেই নিতে পারেন কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা। এহছাড়াও টেলি-কনসালটেন্সির মাধ্যমে ভিডিও কলে সরাসরি মাঠে সমস্যা পর্যবেক্ষণ ও সমাধানে কৃষকদের সহযোগিতা করছে ‘ই-কৃষি ক্লিনিক’।
ই-কৃষি ক্লিনিক নিয়ে এর সিইও এবং সহ প্রতিষ্ঠাতা মো. মোমিন সরকার বলেন, “আমাদের টিমের সদস্যরা কৃষকদের সমস্যাগুলো নির্ণয় করে সঠিক পরামর্শ পৌঁছে দিচ্ছে অনলাইন মাধ্যমে। দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকেই সপ্তাহে ৭ দিন বিনামূল্যে কৃষকরা সেবা নিতে পারছেন। এছাড়াও সম্প্রতি ‘ফসল আপনার, দায়িত্ব আমার’ স্লোগান নিয়ে কাজ শুরু করে ই-মাঠ কৃষি ও ই-ছাদ কৃষি সেবা যেখানে বীজ লাগানো থেকে শুরু করে জমি তৈরী সার বালাইনাশক প্রয়োগ সবকিছুই হচ্ছে ই-কৃষি ক্লিনিকের তত্ত্বাবধানে।”
ই-কৃষি ক্লিনিক থেকে উপকৃত মৌলভীবাজার জেলার কৃষক শংকর দাশ প্রতিষ্ঠানটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রবাস থেকে ফেরার পর চাষাবাদ শুরু করি। ফেসবুকের মাধ্যমে ই-কৃষি ক্লিনিক সম্পর্কে জেনে তাদের সাথে যোগাযোগ করি। তারপর আমার প্রতিটি সমস্যায় তারা সমাধান দিয়েছে এবং কখন কিভাবে সার, বালাইনাশক ব্যাবহার করব তার পরামর্শ দিয়েছে। আমার ফলন ও অনেক ভালো এবং এখনো বিক্রিযোগ্য ফযল মাঠে আছে। বিনামূল্যে এ সেবা পাওয়াই আমি খুব উপকৃত হয়েছি।’