১০ম মাসে সংক্রমণ কমেছে ৩৪ শতাংশ, মৃত্যু বেড়েছে ১৯টি
৯ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:৩৭
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের ১০ মাস পার হয়ে গেছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সবশেষ তথ্য বলছে, নবম মাসের তুলনায় দশম মাসে এসে সংক্রমণ ও সংক্রমণ শনাক্তের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। সুনির্দিষ্টভাবে বললে নবম মাসের তুলনায় দশম মাসে এসে সংক্রমণ কমেছে ৩৪ শতাংশ। একই সময়ে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১২ শতাংশে। তবে নবম মাসের তুলনায় দশম মাসে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যু বেড়েছে ১৯টি।
সংক্রমণ কমে যাওয়ার এই প্রবণতাকে বিশেষজ্ঞরা করোনা সংক্রমণ পরস্থিতির কিছুটা উন্নতি হিসেবেই বিবেচনা করছেন। তবে এখনো দেশে করোনা সংক্রমণ বিপৎসীমার নিচে নামেনি বলেও জানাচ্ছেন তারা। এ পরিস্থিতিতে সরকারকে করোনা প্রতিরোধে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পাশাপাশি জনগণকেও অব্যাহতভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি শনাক্ত হয়। গত ৭ জানুয়ারি প্রথম সংক্রমণ শনাক্তের ১০ মাস পেরিয়ে গেছে। ওই দিন স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগের ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৩১ জন মারা গেছেন। একই সময়ে ১৫ হাজার ৩৮১টি নমুনা পরীক্ষা করে এক হাজার ৭ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৮১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ লাখ ১৯ হাজার ৯০৫টি নমুনায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এই সময়ে কোভিডে আক্রান্ত মারা গেছেন মোট সাত হাজার ৭১৮ জন। এছাড়া বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৪৪৬ জন কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন। ওই দিন পর্যন্ত দেশে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ, সংক্রমিত ব্যক্তির মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৮৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আর করোনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
বাংলাদেশের ১০ মাসের করোনা পরিস্থিতি
বাংলাদেশে ৮ মার্চ প্রথম তিন জনের শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়। কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশে প্রথম মৃত্যুবরণের ঘটনা ঘটে ১৮ মার্চ। প্রথম দিকে দেশে মৃত্যুহার বেশি থাকলেও সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ার পর এটি কমে আসে। ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পরে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন নমুনা পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার কমে এলেও কমেনি মৃত্যুর হার। তবে ৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত কোভিড-১৯ শনাক্তের হার কমে আসলেও নবম মাসের (৮ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর) তুলনায় ১৯টি মৃত্যু বেড়েছে।
মার্চের ৮ তারিখ থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে ৩ হাজার ৭৫৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৬৪ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়। এর মধ্যে ১৭ জন মৃত্যুবরণ করেন। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ৪ দশমিক ৩৬ সংক্রমণ শনাক্ত হলেও মৃত্যুহার ছিল ১০ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
৮ এপ্রিল থেকে ৭ মে পর্যন্ত দেশে এক লাখ ১ হাজার ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১২ হাজার ২৬১ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়। এই সময়ে ১৮২ জন মৃত্যুবরণ করেন, যা শনাক্তের বিপরীতে ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ। এই সময়ে নমুনা পরীক্ষায় ১২ দশমিক ১১ শতাংশের শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায়।
৮ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত সময়ে দেশে দুই লাখ ৯২ হাজার ৪৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এই সময়ে ৫৩ হাজার ৩৪৪ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায়, যা নমুনা পরীক্ষার তুলনায় ১৮ দশমিক ২৪ শতাংশ। এই সময়ে দেশে ৬৮৯ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
৮ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত সময়ে দেশে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ৪৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যা দেশে এখন পর্যন্ত একমাসে সর্বোচ্চ নমুনা পরীক্ষা। এই সময়ে ১ লাখ দুই হাজার ৮৭৬ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায়। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে এই মাসে শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৫০ শতাংশ। এই ৩০ মূলত বাংলাদেশে সর্বোচ্চসংখ্যক কোভিড-১৯ সংক্রমিত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন। এই একমাসে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এক হাজার ২৬৩ জন, যেটিও এখন পর্যন্ত একমাসে সর্বোচ্চ। তবে এই মাসের পরিসংখ্যান লক্ষ্য করে দেখা যায়, করোনা শনাক্তের তুলনায় ১ দশমিক ২৩ শতাংশ মৃত্যুবরণ করেছেন, যা আগের মাসের তুলনায় কিছুটা কম।
৮ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৩৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৩ হাজার ৮৫৭ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়। নমুনা পরীক্ষা বিপরীতে এই মাসে ২৩ দশমিক ২১ শতাংশের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায়। একমাসে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে এটিই সর্বোচ্চ সংক্রমণ হার। এই মাসে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যান এক হাজার ১৮২ জন।
৮ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশে ৪ লাখ ৬ হাজার ৯০১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এই সময়ে ৭৪ হাজার ৮৫৭ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায়, যা নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে ১৮ দশমিক ৪০ শতাংশ। এই সময়ে ১ হাজার ১৮৩ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে দেশে তিন লাখ ৮২ হাজার ১৮০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৫ হাজার ৭৯২ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়। নমুনা পরীক্ষা বিপরীতে এই মাসে শনাক্তের হার নেমে আসে ১১ দশমিক ৯৮ শতাংশে। তবে এই সময়ে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৯২৪ জন। কোভিড সংক্রমণ শনাক্তের বিপরীতে এই মাসে মারা যান ২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, যা আগের যেকোনো মাসের চেয়ে বেশি।
৮ অক্টোবর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে চার লাখ তিন হাজার ৩৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪৫ হাজার ৬১৩ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়। নমুনা পরীক্ষা বিপরীতে এই মাসে শনাক্তের হার নেমে আসে ১১ দশমিক ৩২ শতাংশে। এই সময়ে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬০৯ জন।
৮ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে দেশে চার লাখ ৪৭ হাজার ৬৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬০ হাজার ৯৭৯ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়। নমুনা পরীক্ষা বিপরীতে আবার এই মাসে সংক্রমণ হার আগের দুই মাসের তুলনায় বেড়ে যায়। এ মাসে সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। এই সময়ে দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৮২৫ জন।
সবশেষ ৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে দেশে চার লাখ ৪০ হাজার ২৭২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪০ হাজার ২৭২ জনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া যায়। নমুনা পরীক্ষা বিপরীতে এই মাসে শনাক্তের হার ৯ দশমিক ১২ শতাংশ। মার্চ মাসের হিসাব বাদ দিলে দেশে কোনো মাসেই সংক্রমণের হার এত কম আর কখনো ছিল না। তবে এ মাসে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা যান ৮৪৪ জন। আগের মাসের তুলনায় এ মাসে ১৯ জন বেশি মারা যান। সংক্রমণের বিপরীতে মৃত্যুর হার ছিল এ মাসে ২ দশমিক ১০ শতাংশ, যা আগের মাসের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।
নবম মাসের (৮ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর) সঙ্গে দশম মাসের (৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি) তুলনা করলে দেখা যায়, আগের মাসের তুলনা শেষ মাসটিতে নমুনা পরীক্ষা, সংক্রমণ শনাক্ত ও সংক্রমণ শনাক্তের হার— তিনটিই কমেছে। এ ক্ষেত্রে নমুনা পরীক্ষা মাত্র ৭ হাজার ৪০২টি কমলে সংক্রমণ কমেছে ২০ হাজার ৮১৭টি। শতাংশের হিসাবে নমুনা পরীক্ষা মাত্র ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমলেও এই সময়ে সংক্রমণ কমেছে ৩৪ শতাংশ। অন্যদিকে আগের মাসে যেখানে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬২ শতাংশ, দশম মাসে এই হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১২ শতাংশে। তবে এ মাসে মৃত্যু বেড়েছে ১৯টি, যা আগের মাসের তুলনায় ২ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
চলমান পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর সারাবাংলাকে বলেন, আমাদের দেশে সংক্রমণের সংখ্যা যদি বিবেচনা করা হয়, দেখা যাবে রাজধানীতেই বেশি পরিমাণ শনাক্ত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ স্বাস্থ্য অধিদফতরের নানামুখী উদ্যোগে রাজধানীতে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানেও নানা ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহারের কারণে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমছে— এমনটি বলা যেতে পারে।
তবে সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কমলেও সতর্কতায় ঘাটতি বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মত ডা. আলমগীরের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, শনাক্তের হার শতকরা পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে এলে সেটিকে স্থিতিশীল বা সহনীয় পর্যায় বলা যেতে পারে। এই হারে সংক্রমণ কয়েক সপ্তাহ অবস্থান করলে বলা যাবে কিছুটা নিরাপদ অবস্থানে আমরা পৌঁছাব। সেটি কিন্তু এখনো অর্জিত হয়নি। ফলে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের ক্ষেত্রে শিথিল হওয়ার সুযোগ নেই। এমনকি দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হলেও আমাদের মাস্ক পরার অভ্যাস ধরে রাখতে হবে।
চলমান পরিস্থিতিতে করোনা পরীক্ষার পরিমাণ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আইইডিসিআরের এই কর্মকর্তা। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সবখানে সচেতনতা বাড়াতে বলেন তিনি।
আইইডিসিআরের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যকরী সদস্য ডা. মোশতাক হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, দেশে সংক্রমণের হার কমে আসছে এটা সত্য। কিন্তু আমরা এখনো বিৎদসীমা অতিক্রম করিনি। আজকে সংক্রমণ কম থাকলেও এটি কাল যে বাড়বে না, তার নিশ্চয়তা নেই। এক্ষেত্রে আমরা বিশ্বের কিছু দেশ দেখেছি যাদের সংক্রমণের হার একদম শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছিল। পরবর্তী সময়ে কিন্তু ফের সংক্রমণ বেড়েছে। তাই সংক্রমণের হার কমে যাওয়া নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করার অবকাশ নেই।
তিনি আরও বলেন, সরকারি নানা প্রচারণা ও সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে দেশে মাস্কের ব্যবহার বেড়েছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। অনেকেই বলছিল দেশে শীতে সংক্রমণের হার বাড়বে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তেমন কিছুই হয়নি। এতে বোঝা যায়, আবহাওয়ার সঙ্গে করোনা সংক্রমণের কোনো সম্পর্ক তেমনভাবে নেই। তাই বছরব্যাপী সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে চলতে হবে।
কোভিড প্রতিরোধ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও ভাইরোলজিস্ট ডা. নজরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, সংক্রমণের হার কমে এলে সেটি তো দেশের জন্য ভালো। কিন্তু তাতেও রিল্যাক্স হওয়া যাবে না। ভ্যাকসিন এলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কারণ বিশ্বের কোনো ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানই কিন্তু বলেনি যে ভ্যাকসিন থেকে কতদিন সুরক্ষা মিলবে। এজন্য মাস্ক পরতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবেই। এর কোনো বিকল্প নেই।
করোনা সংক্রমণ করোনা সংক্রমণের ১০ মাস করোনাভাইরাস নভেল করোনাভাইরাস স্বাস্থ্য অধিদফতর