মৌসুমভিত্তিক কৃষিপণ্যের মূল্য ঠিক করতে কমিশন গঠনের দাবি
১০ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:২১
ঢাকা: মৌসুমভিত্তিক চাল ডালসহ নিত্যপণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য কৃষিপণ্য মূল্য কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
রোববার (১০ জানুয়ারি) এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ‘চালের দাম বাড়ছে কেন? কার লাভ, কার ক্ষতি’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিভিন্ন গবেষক, মিল মালিক, চাল রফতানিকারক, কৃষিসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও মাঠ পর্যায়ের কৃষকরা যুক্ত ছিলেন।
ভারতে এই পদ্ধতি খুব কাজে দিয়েছে উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বাংলাদেশে শুধুমাত্র আমলাতান্ত্রিক বা গবেষকের মতামতের ওপর নির্ভর না করে প্রকৃত উৎপাদকের সঙ্গে এবং বাজারসংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করে কৃষিপণ্য মূল্য কমিশন গঠন প্রয়োজন। একটি এগ্রিকালচারাল প্রাইস কমিশন গঠন করা দরকার, যাতে তারা দীর্ঘমেয়াদী প্রক্ষেপণ দিতে পারে। একই সঙ্গে মধ্যমেয়াদী, স্বল্পমেয়াদী দাম নির্ধারণ করবে।’
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘চালের দামের ক্ষেত্রে নজরদারির প্রয়োজনীয় রয়ে গেছে। কৃষির উন্নতি হয়েছে, কিন্তু কৃষকের তো সেভাবে উন্নতি হলো না। সরকারের মজুদ কম। বাজারকে নিয়ন্ত্রণ করার মতো মজুদ নেই। সংগ্রহের ক্ষেত্রে সরকারের সক্ষমতা কম, লটারির মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়, কিন্তু অনেকেই বঞ্চিত হন। এছাড়া সঠিক সময়ে চাল আমদানি হয়নি। এই সিদ্ধান্ত আরও আগে নেওয়া যেতো।’
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘এবার আমনের উৎপাদন কম হয়েছে। মাঠপর্যায় থেকে আমন উৎপাদনের সঠিক সিদ্ধান্ত আসেনি। এ কারণে চালের দাম বেড়েছে। আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়েছে। সিদ্ধান্ত নিলেও এখন পর্যন্ত চাল আমদানি হয়নি। এসব কারণে বাজারে চালের দাম কিছুতেই কমছে না। এছাড়া চালের বাজারে বড় বড় কিছু বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান প্রবেশ করায় তারা মজুদ করে রেখেছে। ছোট ছোট মিলাররা নানা সমস্যায় জর্জরিত। ফলে চালের বাজারে সিন্ডিকেটও রয়েছে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা ইস্টিটিউটের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. এম আসাদুজ্জামান, চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ ও কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা বক্তব্য রাখেন।