‘বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে জিয়াকে আবিষ্কার পাকিস্তানি শক্তির’
১০ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:৫৮
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতেই সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমানকে আবিষ্কার করেছিল সাম্রাজ্যবাদ ও পাকিস্তানি শক্তি।
রোববার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কৃষক লীগ আয়োজিত ‘কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে শীতবস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কৃষক লীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
অনুষ্ঠানে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘১৯৭১ সালের প্রতিশোধের লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতাকে হত্যা করা এবং হত্যা করার পর ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করে সাম্রাজ্যবাদ ও পাকিস্তানি শক্তি। শুধু তাই নয়, তারা বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার জন্য তার বিপরীতে সামরিক জান্তা জিয়াউর রহমানকে আবিষ্কার করে তাকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর চেষ্টা করেছিল।’
আওয়ামী লীগে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, ‘১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বেলা ১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখেন। পাকিস্তানি বন্ধিদশা থেকে বিজয়ীর বেশে ফিরে আসেন বাঙালির এই মহানায়ক। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে জাতি উদ্দেশে ভাষণ দেন। বাংলাদেশের আদর্শগত ভিত্তিক কী হবে? রাষ্ট্রের কাঠামো কী হবে? পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যারা দালালি করেছে- তাদের কী হবে? এসব বিষয়সহ বিভিন্ন দিকনিদের্শনা দিয়েছিলেন।’
নানক বলেন, ‘আজ থেকে ৫০বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছেন। সেই স্বপ্ন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন। দেশের মানুষ মনে করে তার হাতে দেশ, দেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতির সম্পদ নিরাপদ। তিনি জেগে আছেন বলেই জাতি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে র্যাংঙ্কিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে যাদের আমরা পরাজিত করেছি তারাই আজ আমাদের অনুসরণ করতে চায়। জননেত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক মেগা প্রোজেক্ট বাস্তবায়ন করছে। তার দূরদর্শী চিন্তা ও সুশাসনের ফলে দেশের গ্রামগুলো একেকটি শহরে রূপান্তরিত হয়েছে। গ্রামে এখন গরিব মানুষ খুঁজে পাওয়া যায় না। দেশ থেকে মঙ্গা শব্দটি পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মহানায়ক আজ শেখ হাসিনা।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পরিবর্তিত রূপ যারা আছে, বিএনপি-জামায়াতসহ যারা মৌলবাদী ধর্মান্ধ, জঙ্গিবাদীর পৃষ্টপোষক, সেই অপশক্তিরা আজও বসে নেই। তারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। তারা বিভিন্নভাবে অপকর্ম করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি আজ রাজনীতির নামে আওয়ামী লীগ সরকারের পটপরিতর্বনের জন্য ষড়ন্ত্র করছে। জঙ্গিবাদদের মদদ দিয়ে তারা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব যতদিন থাকবে ততদিন বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে। কোনো অপশক্তিকে বাংলার ১৭ কোটি মানুষ প্রশ্রয় দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।’
কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা বক্তৃতা করেন। আলোচনা সভা শেষে কৃষকদের মাঝে র্শীতবস্ত্র সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
১০ জানুয়ারি কৃষক লীগ জাতির জনক জাহাঙ্গীর কবির নানক বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন শেখ মুজিবুর রহমান