‘হাইকোর্টের রায় সংবিধানের ২৭, ২৮ ও ৪০ অনুচ্ছেদ পরিপন্থি’
১১ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:২৯
ঢাকা: নারীরা বিবাহের কাজী হতে পারবে না’- এই মর্মে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে শ্রমজীবী নারী মৈত্রী। সোমবার (১১ জানুয়ারি) সংগঠনের সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী ও সাধারণ সম্পাদক রাশিদা বেগম এক বিবৃতিতে এ বিস্ময় প্রকাশ করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সংবিধানের মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত অধ্যায়ের ২৭ ও ২৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্র ও গণজীবনের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, নারী হওয়ার কারণে রাষ্ট্র নাগরিকদের প্রতি কোনো প্রকার বৈষম্য প্রদর্শন করবে না। সংবিধানের ৪০ অনুচ্ছেদেও নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পেশা ও বৃত্তির স্বাধীনতাও নিশ্চিত করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নারীরা বিয়ের কাজী হতে পারবে না, হাইকোর্টের রায়
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘হাইকোর্ট প্রদত্ত রায়ে নারীদের শারীরিক সীমাবদ্ধতার যে প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়েছে তাও যুক্তিযুক্ত নয়। রায়ে বেশিরভাগ বিবাহ মসজিদে সম্পন্ন হওয়ার যে কথা বলা হয়েছে তাও মোটেও তথ্যভিত্তিক নয়।’
নারী মৈত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়, গত তিন দশক ধরে নারী নেতৃত্বে যদি দেশ ও সরকার চলতে পারে, উচ্চ আদালতের বিচারকার্য থেকে শুরু করে সকল পেশায় নারীরা যদি তাদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও মেধার পরিচয় দিতে পারে তাহলে বিবাহ রেজিস্ট্রার বা কাজীর দায়িত্ব পালনেও নারীদের কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিয়ের রীতিনীতি
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘হাইকোর্টের এ রায় নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নেরও পরিপন্থি। আশা করি, উচ্চ আদালত এ রায় পুনর্বিবেচনা করবে এবং কাজী হিসেবে নারীদের দায়িত্ব পালনে সব বাধা অপসারণে এগিয়ে আসবেন।’