এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ, তারপর মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ হবে ভ্যাকসিন
১১ জানুয়ারি ২০২১ ২৩:৩৭
ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন আসার পর শুরুতেই তা মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করা হবে না। এক্ষেত্রে ভ্যাকসিন আসার পরে কোনো মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতালে এটি প্রয়োগ করা হবে। সেখানে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর এক সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ শেষে তারপর মাঠ পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানানোর জন্য এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভ্যাকসিন বিতরণ কমিটির সদস্য ও এমএনসিঅ্যান্ডএএইচ অপারেশনাল প্ল্যানের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো.শামসুল হক বলেন, যেহেতু প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিন আসছে, সে কারণে আমরা দুয়েকটা জায়গায় অল্প কিছু মানুষের ওপর প্রয়োগ করব। সেটা মেডিকেল কলেজ হতে পারে, অথবা হাসপাতালও হতে পারে। সেখানে ভ্যাকসিনেটর বা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যদি কেউ ভ্যাকসিন নিতে চান, তাদের ওপর প্রয়োগ করা হবে।
তিনি বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়ার পর সাত দিন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করার পরিকল্পনা আছে আমাদের। এরপর ফিল্ডে কাজ শুরু করে দেবো। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় পর্যায়ে টিকা দেওয়া শুরু হয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, বেক্সিমকো ফার্মা আমাদের জানিয়েছে, ২১ জানুয়ারি থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে যেকোনো দিন ভ্যাকসিন নিয়ে আসতে পারবে। বিদেশে রফতানি করতে সিরাম ইনস্টিটিউটের যে আইন-কানুন আছে, তা সম্পন্ন করতে এই সময়টুকু লাগবে। দেশে আসার পরে ভ্যাকসিন শুরুতে রাখা হবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ওয়্যারহাউজে। কিছু কাগজপত্র ঠিক করে পরে তা স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্ধারিত স্থানে পাঠিয়ে দেবে।
তিনি বলেন, দেশের কোন কোন জায়গায় ভ্যাকসিন পৌঁছাতে হবে, সেই তালিকা আমরা বেক্সিমকোকে দেবো। তারা সেসব জায়গায় ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবে। জেলা শহরে পৌঁছে দেওয়ার পর আমাদের নিজস্ব সক্ষমতায় ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানো হবে। ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করবেন। এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে। ভ্যাকসিন ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পাঠানো পর্যন্ত যেকোনো ধরনের নিরাপত্তা তারা দেবেন।
দেশে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিয়ে মানুষের মধ্যে যেন কোনো ধরনের বিভ্রান্তি না হয়, সেজন্য ভূমিকা রাখতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা ও অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সেন্টার (এমআইএস) শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান বক্তব্য দেন।
করোনাভাইরাস করোনার ভ্যাকসিন কোভিড-১৯ পর্যবেক্ষণ ভ্যাকসিন প্রয়োগ