ঢাকা: ‘কমনওয়েলথ স্কলারশিপ ২০২১’ এর জন্য ২৮৬ শিক্ষার্থীকে বাছাই করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আগামী ১৪ জানুয়ারি তাদের সাক্ষাৎকার নিয়ে ৩৩ জনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। পাঁচটি বোর্ডে ভাগ করে প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে।
এর আগে ১৯ ডিসেম্বর কমনওয়েলথ স্কলারশিপ-২০২১ এর জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ইউজিসি। ৭ জানুয়ারি শেষ দিন পর্যন্ত আবেদন জমা পরে ৩৩৮ জন প্রার্থীর।
করোনা মহামারির ঝুঁকির কারণে এবার মাস্টার্স প্রোগ্রামে স্কলারশিপ দেওয়া হচ্ছে না। এবার কেবল মাত্র পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য স্কলারশিপ দেওয়া হবে। এজন্য অন্যান্য বছরের তুলনায় পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন বেশি জমা হয়েছে।
কমনওয়েলথ বৃত্তির মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কমনওয়েলথ স্কলারশিপের মাধ্যমে পিএইচডি ও মাস্টার্সে পড়াশোনার জন্য যাবতীয় অর্থ দেয় ইউকে ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
কমনওয়েলথ বৃত্তির আর্থিক সুবিধার আওতায় স্নাতকোত্তর বা পিএইচডির সম্পূর্ণ টিউশন ফি বহন করবে কমনওয়েলথ কমিশন। সাথে যুক্তরাজ্যে যাওয়া-আসার বিমানের টিকিট, লন্ডনের বাইরে থাকলে মাসিক ভাতা হিসেবে দেওয়া হয় ১ হাজার ৮৬ পাউন্ড এবং লন্ডনের ভেতরে থাকলে ১ হাজার ৩৩০ পাউন্ড ভাতা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা শেষ করা পর্যন্ত দেওয়া হবে। এর বাইরেও মাসিক ভাতার বাইরেও এককালীন ৪২১ পাউন্ড, স্টাডি ট্রাভেল গ্রান্ট হিসেবে ২০০ পাউন্ড, থিসিস গ্রান্ট হিসেবে ২২৫ পাউন্ড পায় শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া কমনওয়েলথ কমিশন কর্তৃক আয়োজিত যে কোনো প্রশিক্ষণ, স্বল্পমেয়াদী কোর্স, ওয়েলকাম ইভেন্ট ও আঞ্চলিক সম্মেলনে যোগদানের জন্য ট্রেনের টিকিট, থাকা-খাওয়া দেওয়া হয় বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের।