করোনার ধাক্কা এডিপিতে, বাস্তবায়ন ২৪ শতাংশ
১৩ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:৪০
ঢাকা: চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) করোনার ধাক্কা লেগেছে। গত ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) বাস্তবায়ন হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এডিপির এই বাস্তবায়ন গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) পকিল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলা ব্যয় করতে পেরেছে ৫১ হাজার ২৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল হতে ৩২ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৪ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। এছাড়া বৈদেশিক সহায়তা থেকে ব্যয় হয়েছে ১৭ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ২৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। এছাড়া সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন হতে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ১৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে দুই লাখ ১৪ হাজার ৬১১ কোটি টাকা এডিপি বাস্তবায়ন করছে সরকার। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের এক লাখ ৩৪ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ৭৪ শতাংশ এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭০ হাজার ৫০২ কোটি টাকা বা ৩২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এছাড়া সংস্থাগুলোর নিজস্ব অর্থায়ন রয়েছে নয় হাজার ৪৬৬ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৪১ শতাংশ।
আইএমইডির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের একই সময়ে (প্রথম ছয় মাস) এডিপির বাস্তবায়ন ছিল ২৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাস্তবায়িত হয় ২৭ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই হার ছিল ২৭ দশমিক ২০ শতাংশ।
আইএমইডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরের অনেকটা সময় কোভিড-১৯-এর কারণে উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন ঠিক মতো করা যায়নি। ফলে বাস্তবায়ন কিছুটা কম হয়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে, চলতি জানুয়ারি মাস থেকে পরবর্তী সময়গুলোতে এডিপি বাস্তবায়নের হার বাড়বে।
আইএমইড বলেছে, শুধু ডিসেম্বর মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ সময় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ব্যয় করতে পেরেছে ১২ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ৬ হাজার ৬০৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা, বৈদেশিক সহায়তা ৫ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ৩০৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
এদিকে গত অর্থবছরের ডিসেম্বর অর্থাৎ এক মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছিল ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ওই সময় ব্যয় হয়েছিল ১৫ হাজার ৮০৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিলের ৮ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৬ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৫৪৮ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয় করা হয়।
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম