‘উদ্ভাবনের হাত ধরে দেশে বিস্ময়কর রূপান্তর ঘটেতে পারে’
১৩ জানুয়ারি ২০২১ ২০:০৭
ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবনের হাত ধরে বাংলাদেশের বিস্ময়কর রূপান্তর ঘটেতে পারে। নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা মেধা ও সৃজনশীলতাকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে পারলে আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে অভাবনীয়। বাঙালির ইতিহাস, ঐতিহ্য, জীবনধারা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে তাদের মেধা, দক্ষতা ও সৃজনশীলতা যোগ করে এগিয়ে যাওয়ায় পৃথিবীতে আরেকটি রূপান্তরের দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন কেন্দ্র আয়োজিত উদ্যোক্তা উন্নয়নে উদ্ভাবন শীর্ষক এক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মাসুদ উর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান, অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা মো. আরিফুজ্জামান বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ বিভাগের উদ্যেক্তা উন্নয়ন সংক্রান্ত অনুসন্ধানী ও গবেষণালব্ধ তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়।
ওয়েবিনারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোনো যন্ত্র মেধা-সৃজনশীলতার বিকল্প হতে পারে না। তবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এর সঙ্গে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন অপরিহার্য। ডিজিটাল যন্ত্র পরিচালনার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই। যন্ত্র চালাতে পারলেই হবে।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী দেশ থেকে পিছিয়ে নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ পৃথিবীতে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা পরবর্তী যুদ্ধের ধ্বংসস্তুপের ওপর দাঁড়িয়েও প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণের পাশাপাশি বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র স্থাপন, টিএন্ডটি বোর্ড গঠন, আইটিইউ ও ইউপিইউ’র সদস্যপদ অর্জনের মাধ্যমে ডিজিটাইজেশনের বীজ বপন করেন।’
বৃহত্তর ময়মনসিংহ এক সময় উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় জেলা ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ছিল পাট। ময়মনসিংহ ছিল পাট উৎপাদনে সবচেয়ে এগিয়ে। দেশের মিঠা পানির মাছের চাহিদার একটি বড় অংশ বৃহত্তর ময়মনসিংহ থেকেই যোগান দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বড় সম্পদের নাম মানুষ। প্রযুক্তির সঙ্গে মানুষকে যুক্ত করতে পারলে প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সক্ষম। এদেশের মানুষ সোনাফলা মাটির সঙ্গে তার মেধা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়েছে। তাই এদেশের সঙ্গে পাল্লা
দেওয়ার কেউ নেই।’ সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম