Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও ভ্যাকসিন দিতে পারবে, তৈরি হচ্ছে নীতিমালা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৪ জানুয়ারি ২০২১ ২০:১৫

ঢাকা: সরকারিভাবে দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হওয়ার পর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও শর্তসাপেক্ষে ভ্যাকসিন দিতে পারবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন সরকারিভাবে দেওয়া শুরু হবে। এরপর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও শর্তসাপেক্ষে ভ্যাকসিন দিতে পারবে। সেজন্য ভ্যাকসিন আমদানি ও কিভাবে সেটা প্রয়োগ করা হবে, তা নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের ভ্যাকসিন প্রয়োগ ও বিতরণ সংক্রান্ত একটি সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আমদানি ও প্রয়োগ বিষয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন আমদানি ও কিভাবে সেটা প্রয়োগ করা হবে, তা নিয়ে একটি নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। নীতিমালার মধ্যে সবকিছু থাকবে। তারা কিভাবে টিকা দেবে, কিভাবে হিসাব রাখবে, কী দামে দেবে— এ বিষয়গুলো ঠিক করে দেওয়া হবে। এছাড়াও ঠিক করে দেওয়া হবে— কোন হাসপাতালের মাধ্যমে, কোন ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।

মন্ত্রী বলেন, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলো থেকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এজন্য সরকার সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। দেশে অন্তত ১৪-১৫ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ রাখার ব্যবস্থা সরকারের হাতে রয়েছে। কাজেই দেশে চার-পাঁচ কোটি ভ্যাকসিন চলে এলে সেগুলো সঠিকভাবে প্রয়োগে কোনো সমস্যা হবে না।

তিনি আরও বলেন, জেলা পর্যায়ের প্রতিটি হাসপাতালে সংরক্ষিত কোল্ড রুমে প্রায় ৪ লাখ ২৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, প্রতিটি হাসপাতালে পাঁচ থেকে ১০টি আইস ফ্রিজার আছে, যেখানে অন্তত ৭১ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন রাখা যাবে। প্রাথমিকভাবে সারাদেশে বর্তমানে সাত হাজার ৩৪৪টি টিম ভ্যাকসিন প্রদানে যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি টিমে ছয় জন স্বাস্থ্যকর্মী কাজ করবেন বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য প্রায় ৪২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এই কাজের জন্য একটি অ্যাপ আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে তৈরি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তাছাড়া ভ্যাকসিন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম যেন না হয়, সেজন্য দেশের ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর সার্বিক পরিস্থিতি কঠোরভাবে মনিটরিং করবে। ভ্যাকসিন সংক্রান্ত সব তথ্য যেন মানুষ দ্রুত জানতে পারে, সেজন্য স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাধ্যমে নিয়মিত ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচার করা হবে।

সভায় স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছরের ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড নামের ভ্যাকসিনটি দেশে আসবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এ বিষয়ে ১১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ জানান, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে জাতীয়ভাবে টিকাদান কর্মসূচি চলবে।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

করোনার ভ্যাকসিন টপ নিউজ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন সরকারিভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

‘তুফান’ আসছে হিন্দি ভাষায়
৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৪৯

সম্পর্কিত খবর