ঢাকা: ‘যাদের রক্তের উপর দিয়ে বাংলাদেশের মানচিত্র ও লাল সবুজের পতাকা রচিত হয়েছে; তাদেরকে সম্মান করে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা দেন। কিন্তু কূটকৌশলে ১ম ও ২য় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতে রেখে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান ও বঙ্গবন্ধুর দেওয়া মুক্তিযোদ্ধা কোটার অসম্মান করা হচ্ছে।’
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা এ কথা বলেন।
সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী ১০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা রেখে মন্ত্রিপরিষদে পাঠানোর জন্য যে মতামত দিয়েছেন তার বিরোধীতা করা হয় মানববন্ধনে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা ১০ শতাংশ মানা হবে না বলেও জানান মানববন্ধনে অংশ নেওয়া মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম তুষার বলেন, যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত সনদ বাতিল করা হয়, তাহলে এদেশ কারা চালায়? মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরিতে প্রবেশের বয়স শেষ হয়ে যাওয়ার পর ১৯৯৭ সালে এ কোটা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু তা বাতিলের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বিতর্কিত করা হয়েছে।
মানববন্ধনে ছয়টি দাবি তুলে ধরা হয়। সেগুলো হলো, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা। সরকারি সকল চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনবর্হাল। মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পারিবারিক সুরক্ষা আইন এবং মুক্তিযোদ্ধা হাসপাতাল নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা ব্যাংক প্রতিষ্ঠা। রাজাকারসহ স্বাধীনতা বিরোধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা ও তাদের বংশধরদের সরকারি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও নিয়োগে অযোগ্য ঘোষণা করা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী সকল প্রকার অপপ্রচার বন্ধ করা। সরকারি সকল চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের বয়স ৩৫ করতে হবে।
মানববন্ধনে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।