রৌমারী (কুড়িগ্রাম): কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরসহ সীমান্তবর্তী দু’টি উপজেলায় প্রতিদিনই বেড়েই চলছে শীত। গত কয়েকদিন ধরে দেখা নেই সূর্যের। এতে করে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। আর শীতের তীব্রতায় কাঁপছে দুই উপজেলার প্রায় তিন লাখ মানুষ।
প্রতি বছরই শীতের তীব্রতা তুলনামূলকভাবে অন্যান্য জেলার চেয়ে বেশি কুড়িগ্রামে। নতুন বছরের শুরুতেই শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে ওই দুই উপজেলার সাধারণ মানুষ। তবে সরকার থেকে যেসব ত্রাণের গরম কাপড় ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
এদিকে শীতের কারণে সন্ধ্যা থেকে প্রায়ই সারাদিন কুয়াশাছন্ন থাকছে এলাকার চারপাশ। ফলে রাত-দিন প্রায় সমান অন্ধকার রয়েছে দুই উপজেলার মানুষ। রাত হলেই শীতের কম্বল, লেপ ও কাঁথা মুড়ি দিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন এই এলাকার খেটে খাওয়া মানুষরা। মনে হয় সারাদিন গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। মেঘলা আকাশ, মৃদু শীতের উপস্থিতি দেখা দিলে ক্ষণিকেই দুই উপজেলার মানুষদের মুহুর্তেই বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা দিতে দেখা যায়।
এদিকে হাসপাতাল গুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও দিনদিন বাড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নতুন বছরের শুরুতেই রাতদিন কুয়াশা নামতে শুরু করে। রাতভর বৃষ্টির মতো টুপটুপ করে কুয়াশা পড়তে থাকে।
এদিকে হাটবাজারগুলোতে দেখা যায়, গরম কাপড় ও মালফাট মুড়ি দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে তাড়াহুড়ো করে বাড়ির ফিরছেন মানুষ। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের এই তীব্রতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
এ বিষয় রৌমারী উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা আজিজুর রহমান জানান, শীতের গরম কাপড় এসেছে, সেগুলো দরিদ্রদের দেয়া হচ্ছে। রৌমারী উপজেলায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৯৬০ পিস কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি। এসব কম্বল তালিকা করে দরিদ্র অসহায়দের দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান বলেন, ‘দরিদ্রদের জন্য যেসব কম্বল এসেছে। এসব কম্বল সবার সমন্বয়ে বিতরণ করা হচ্ছে।’
এদিকে রৌমারী উপজেলার চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্লাহ জানান, সরকার থেকে উপজেলায় যতগুলো কম্বল বিতরণ করা হচ্ছে তা যথেষ্ট নয়। এজন্য উপজেলায় আরও বেশি কম্বল ও গরম কাপড় বরাদ্দের দাবি জানান তিনি।