কারারক্ষীরাই পৌঁছে দিচ্ছে মাদক, প্রতিরোধে ব্যবস্থা: আইজি প্রিজন
১৮ মার্চ ২০১৮ ১৭:০৬ | আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৮ ১৪:৩৭
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আইজি প্রিজন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন বলেছেন, কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও কারাগারের ভেতরে মাদক প্রবেশ করছে। তা রুখতে বসানো হচ্ছে লাগেজ ও বডি স্ক্যানার। এটি হলে কেউ মাদক প্রবেশ করাতে পারবে না।
রোববার (১৮ মার্চ) দুপুরে কারা অধিদফতরে কারা সপ্তাহ উপলক্ষে কারা মহাপরিদর্শক এসব কথা বলেন।
বন্দিরা কারাগারে মাদক পাচ্ছে। লুঙ্গি ও শার্টের সেলাইয়ের ভাঁজের ভেতরে, শুকনো মরিচ, পেঁয়াজ, টুথপেস্ট, আপেল ও সিগারেটের প্যাকেটের ভেতরে যাচ্ছে ইয়াবা। এছাড়া খাবারের ভেতরেও গাঁজাসহ নানা ধরনের মাদক কারাগারে যাচ্ছে। আর এসব কাজে কারারক্ষীদের একটা অংশ সহায়তা করছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এক জরিপে দেখা গেছে, বন্দিদের মধ্যে ৩৫.৯৭ শতাংশ মাদকাসক্ত। তাদের জন্য পৃথক হাসপাতাল নির্মাণের কাজও এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, কারারক্ষীদের অনেকে মাদক ভেতরে প্রবেশ করানোর কাজে সহায়তা করে থাকেন। তাদের চিহ্নিত করে গত এক বছরে ২০ জনকে শাস্তির আওতায় বনা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বাকীদের বিচার চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে আইজি প্রিজন বলেন, ব্রিটিশ ও পুরনো জেল কোড ভেঙ্গে নতুন ও বাংলাদেশ জেল প্রণীত হতে যাচ্ছে। ১৫৯ টি ধারা সম্বলিত একটি খসড়া প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে যাচাই বাছাইয়ের কাজ চলছে।
এবছরই এটি সংসদে পাস হবে। এটি পাস হলে, অনেকগুলি সুবিধা হবে। এর মধ্যে বিচারক কারাগার থেকেই বন্দীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করতে পারবেন। বন্দিরা মোবাইল ফোনে তাদের পরিবারের সদস্যদোর সাথে কথা বলতে পারবেন।
তবে তার আগেই টাঙ্গাইল কারাগারে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে বন্দিরা মোবাইল ফোনে কথা বলতে পারবেন তা উদ্বোধন হবে।
তিনি বলেন, কারারক্ষী ও কারাবন্দীদের মধ্যে সম্পর্ক আরও ভাল করতে এবং সাধারণ মানুষকে কারাগার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা থেকে বের করে আনতেই এবারের কারা সপ্তাহের উদ্দেশ্য।
আগামী ২০ মার্চ কাশিমপুর কারাগারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল কারা সপ্তাহের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
সারাবাংলা/ইউজে/জেডএফ