‘১ বছরের বেতন বকেয়া হলে পৌরসভা বাতিল’
১৭ জানুয়ারি ২০২১ ২২:০২
ঢাকা: কর্মচারীদের বেতন এক বছরের বেশি সময় ধরে বকেয়া রাখলে পরিষদ বাতিল করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এজন্য বিদ্যমান আইন সংশোধন করা হচ্ছে।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) ‘স্ট্রেংদেনিং দ্যা আরবান লোকাল গভর্নমেন্টস্ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ন্যাশনাল পলিসি ডায়ালগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এই কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি করপোরেশন, পৌরসভা তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী চলে এবং নিজেদের আয়ে পরিচালিত হবে এমনটাই আইনে বলা আছে। যেসব পৌরসভা তাদের কর্মচারীদের ১২ মাস পর্যন্ত বেতন দিতে পারবে না তাদের পরিষদ ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ পৌরসভায় ট্যাক্স দেয় না- এমন কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। পৌরসভাগুলোতে নিজস্ব আয় বাড়াতে হবে। আমরা অনেক অর্থ বরাদ্দ দিয়েছি। করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর তহবিল এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনেক অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তারপরও কেন কর্মচারী বেতন বকেয়া থাকবে?’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করতে হলে স্থানীয় সরকার, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদসহ ইউনিয়ন পরিষদ শক্তিশালী করলেই হবে না, জবাবদিহিতাও নিশ্চিত করতে হবে। কেউ জবাবদিহিতার বাহিরে নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও সংসদে প্রশ্নোত্তরের মুখোমুখি হতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘শহরের সব সুযোগ-সুবিধা গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। পুরো দেশই শহরে রূপান্তরিত হবে। আর শহরের সুযোগ-সুবিধা গ্রামে পৌঁছে গেলে ঢাকায় আর মানুষকে থাকতে হবে না। জনগণ শহরের সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা হাতের নাগালেই পাবে।’
ঢাকাকে বসবাসযোগ্য, আধুনিক ও দৃষ্টিনন্দন করতে হলে জোনভিত্তিক স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, রাস্তা, ওয়াটার বডিসহ অন্যান্য ইউটিলিটি সার্ভিস সরবরাহ করতে হবে। এজন্য নতুন পরিকল্পনা নিতে হবে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে আর ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না। কোথায় সুউচ্চ ভবন হবে, কোথায় কমার্শিয়াল এরিয়া হবে- সব পক্ষের মতামত নিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’
পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জিও বক্তব্য দেন।
সারাবাংলা/টিএস/পিটিএম