Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভ্যাকসিন প্রয়োগে পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৯ জানুয়ারি ২০২১ ১০:২২

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে সারা দেশে ভ্যাকসিন প্রয়োগে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিকল্পনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্যরা। তবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করার জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরামর্শ দিয়েছে কারিগরি কমিটির সদস্যরা।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির ২৫তম অনলাইন সভায় এ সুপারিশ করা হয় বলে জানানো হয়েছে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

বিজ্ঞাপন

কমিটির চেয়ারপারসন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার পরামর্শ বিষয়ে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভ্যাক্সিন সারা দেশে দেওয়ার যে পরিকল্পনা স্বাস্থ্য অধিদফতর করেছে তার রূপরেখা তুলে ধরা হয় বৈঠকে। কমিটি এ পরিকল্পনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং কিছু মতামত দিয়েছেন। ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু করার জন্য পরিকল্পনা অনুযায়ী সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে বলে মতামত দিয়েছেন কারিগরি কমিটির সদস্যরা।

এ সময় পরামর্শ হিসেবে কারিগরি কমিটির সদস্যরা যেসব প্রস্তুতির বিষয়ে জানান তা হলো-

১. ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট ও বড় বড় নগরীতে ভ্যাকসিন দেওয়া কিছুটা চ্যালেঞ্জিং বিধায় এই সব এলাকায় ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু করতে সিটি করপোরেশনসহ সকল সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে।

২. ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশনে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য গণমাধ্যমে প্রচারণা ব্যবস্থা করা দরকার। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সঠিকভাবে চলছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে, দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠী এবং যারা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেননি তাদের জন্য ব্যবস্থা রাখতে হবে।

বিজ্ঞাপন

৩. ভ্যাকসিন দেওয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিট পর্যবেক্ষণে রাখা দরকার। গুরুতর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে
হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৪. ভ্যাকসিন কার্যকরী হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য অ্যান্টিবডি পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকা দরকার। যথাযথ স্যামপ্লিংয়ের মাধ্যমে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার পর অ্যান্টিবডি দেখা দরকার। ফার্মাকোভিজিল্যান্স এর জন্য প্রস্তাব অনুযায়ী অর্থ বরাদ্দ ও অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

৫. কোভিড-১৯ টিকা পরবর্তী বছরগুলোতেও লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এ ধরণের নতুন মহামারি সৃষ্টি হতে পারে বলে বৈজ্ঞানিকরা আশঙ্কা করছেন। অন্যান্য প্রচলিত রোগের জন্য শিশু ও বয়স্কদের টিকাদান কর্মসূচি চালু আছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশেই ভ্যাকসিন তৈরি সক্ষমতা গড়ে তোলা প্রয়োজন।

বেসরকারি উদ্যোগের অনিশ্চয়তা ও দেশের স্বয়ংসম্পূর্ণকরণের গুরুত্ব বিবেচনায় সরকারি প্রতিষ্ঠানে এ ব্যবস্থা গড়ে তোলার সুপারিশ করা হয় কারিগরি কমিটির বৈঠকে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মহিবুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল অফিসার আমানুল হকের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয় সভায়। এতে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসবি/এমও

জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি নভেল করোনাভাইরাস

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর