নকল মাস্ক সরবরাহের অভিযোগ: জেএমআই চেয়ারম্যানের জামিন বহাল
১৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:৫৭
ঢাকা: নকল ‘এন৯৫’ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) জামিনের বিরুদ্ধে জারি করা রুল খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
আদালতে জেএমআই চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানি করেন এম কে রহমান, মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী ও নাহিদ সুলতানা যুথি।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, `বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন বাতিলে হাইকোর্টের দেওয়া রুল খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্ট। এবং জেএমআই চেয়ারম্যানের জামিন বহাল রেখেছে আদালত। একই সঙ্গে আগামী ছয় মাসের মধ্যে জেএমআইয়ের নকল মাস্ক সরবরাহের তদন্ত সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।`
হাইকোর্ট আদেশে বলেছে, বেআইনিভাবে নকল এন-৯৫ মাস্ক সরবরাহের যে অভিযোগ এ মামলায় আনা হয়েছে, মামলার বিচারেই তার সুরাহা হবে। সামগ্রিক বিবেচনায় বিচারিক আদালত যে জামিন দিয়েছে, তার সাথে বিচারের কোনো সম্পর্ক নেই।
`বিচারিক আদালতের জামিন আদেশে আমরা বেআইনি বা ভুল কিছু খুঁজে পাইনি। ফলে রুলটি খারিজ করা হলো। বিচার সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত আসামি জামিনে থাকবেন।`
জামিন পেলেও বিচারিক আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে যেতে পারবেন না রাজ্জাক। জামিনের ‘অপব্যহার’ হলে তা বাতিল করার স্বাধীনতা বিচারিক আদালতের থাকবে বলে হাইকোর্ট জানিয়েছে।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর নকল ‘এন৯৫’ মাস্ক সরবরাহ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে বিচারিক আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
গত বছরের ১৫ অক্টোবর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাকে জামিন দেন।
গত বছরের ৮ অক্টোবর পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) ৬ কর্মকর্তা ও জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. নূরুল হুদা বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-কেন্দ্রীয় ঔষাধাগারের উপ-পরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিক্যাল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ ও সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির।
মামলা দায়েরের পরপরই রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এমআই