টিউশন ফি মওকুফের দাবি ইবি শিক্ষার্থীদের
১৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৬:৪৪
ইবি: করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছরের ১৭ই মার্চ বন্ধ করে দেওয়া হয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে ক্যাম্পাস। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে হল বন্ধ রেখে জানুয়ারি মাসে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর প্রেক্ষিতে টিউশন, হল ও পরিবহন ফি (ফরম ফিলআপ) পরিশোধের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা প্রায় এক বছর হল ও পরিবহন সেবা না নিলেও পরীক্ষার কারণে গুনতে হচ্ছে ফি। বিষয়টি করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠনগুলো হল, পরিবহন ও টিউশন ফি মওকুফের দাবি জানিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১০ মাস ধরে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা কোনোরকম পরিবহন, আবাসিক হলসহ কোনো সেবাই পায়নি। একাডেমিক কার্যক্রমও বন্ধ ছিল। শিক্ষার্থীদের সেবা বাবদ অর্থও ব্যয় হয়নি। তবুও তাদের থেকে ফি নেওয়া হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
হল না খুলে পরীক্ষা গ্রহণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা না দিয়ে দায়সারা কাজ করছে। তারা আমাদের বোঝা মনে করেন। হল না খুলে মেসে রেখে যে পরীক্ষানীতি গ্রহণ করা হয়েছে সেটা আরও বিপদজনক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জিকে সাদিক বলেন, হল ও পরিবহনের অন্যায্য ফি আদায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা নেওয়াটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে যাচ্ছে। যেহেতু শিক্ষার্থীরা পরিবহন ব্যবহার করেনি, অবশ্যই তাদের ফি মওকুফ হওয়া উচিত। আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে মনে করি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি প্রফেসর ড. তপন কুমার জোর্দ্দার বলেন, হল প্রভোস্টদের সঙ্গে কথা বলব। যেন তারা বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে নেন।
এ বিষয়ে উপাচার্য শেখ আবদুস সালাম বলেন, এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খোলা সম্ভব নয়। তবে ফি মওকুফের দাবিটি যৌক্তিক। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ঊর্ধ্বতন মহলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এসএসএ