‘২০২৭ সালের মধ্যে বিদেশে ৪০ লাখ নতুন কর্মী পাঠাতে চাই’
২০ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:২৩
ঢাকা: মধ্যপ্রচ্যের শ্রমবাজার সংকুচিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই বিদেশে নতুন শ্রমবাজার বের করতে কাজ করছে এবং একটি রোডম্যাপ বানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো। রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বিদেশের শ্রমবাজার থেকে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয় করতে চায় বাংলাদেশ। পাশাপাশি ২০২৭ সালের মধ্যে আফ্রিকা অঞ্চলের চারটি দেশে ৪০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন গণমাধ্যমকর্মীদের এই তথ্য জানান। এর আগে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘কন্ট্রাক্ট ফার্মিং অ্যান্ড জব অপরচুনিটি’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ ওই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আগামীতে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার সংকুচিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। আর আমাদের বেশিরভাগ কর্মীই মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারে যায় এবং সেখান থেকেই বেশি রেমিট্যান্স আসে। তাই আমাদের অগ্রযাত্রা ঠিক রাখতে আমরা নতুন বাজার খোঁজার চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে আমরা এই বিষয়ে বৈঠক করেছি। সেই বৈঠকে এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এবং ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেছেন, আমাদের যে কর্মীবাহিনী রয়েছে তা ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব। এই বিষয়ে তারা নির্দিষ্ট রোডম্যাপও দিয়েছেন। আমরা তা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ নতুন বাজার খোঁজার জন্য বেশকিছু কাজ করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ’র মতে, ২০২৭ সালের মধ্যে আফ্রিকা অঞ্চলের চারটি দেশে ৪০ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সম্ভব।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত সুদানের দূতের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তাদের ওইখানে সুযোগ আছে। কেনিয়ায় নিযুক্ত আমাদের দূত জানিয়েছেন যে সেখানকার সরকার এক হাজার একর জমি আমাদের কৃষিকাজ করতে দিবে। কেনিয়াতেও সুযোগ আছে। এছাড়া সৌদি আরবেও কৃষিক্ষেত্রে সুযোগ আছে। গাম্বিয়াতেও এই সুযোগ আছে।’
সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর
আফ্রিকায় শ্রমবাজার কর্মসংস্থান ড. এ কে আবদুল মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রমবাজার