করোনাকালেও অর্থনীতিতিতে পুঁজিবাজারের অবদান বাড়ছে
২০ জানুয়ারি ২০২১ ১৮:২৮
ঢাকা: পৃথিবীর অনান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে জিডিপি‘র আকার অনেক ছোট। আশার কথা হলো, অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের অবদান বাড়ছে। ২০২০ সালে যেখানে পুঁজিবাজারের আকার জিডিপি‘র ১১ শতাংশ ছিল, কত কয়েক মাসে তা বেড়ে ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তারপরও বাংলাদেশের পুঁজিবাজার অনেক পিছিয়ে রয়েছে। কারণ ভারতের জিডিপি‘র ৭৫ শতাংশে পুঁজিবাজারের অবদান রয়েছে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নিকুঞ্জে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় ডিএসই চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক রকিবুর রহমান, শাকিল রিজভী, মো. শাহজাহানসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
ডিএসই‘র চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান বলেন, আমরা ফেব্রুয়ারিতে ডিএসই বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণ করি। এরপর নানা সমস্যা ছিল। করোনা মহামারির কারণে ৬৬ দিন লেনদেন বন্ধ রাখা হয়। তারপরও বিএসইসি’র ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে ডিসেম্বরের পর থেকে পুঁজিবাজারে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, পৃথিবীর অনান্য দেশের পুঁজিবাজারের তুলনায় আমাদের বাজারের আকার অনেক ছোট। তবে এর আকার বাড়ছে। ২০২০ সালে পুঁজিবাজারের আকার জিডিপি‘র ১১ শতাংশ হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। তারপরেও আমরা পিছিয়ে রয়েছে।
ডিএসই চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দিতে অনেক নতুন নতুন আইন করা হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের ১৯৯৬ কিংবা ২০১০ সালের মতো পরিস্থিতি আর দেখতে হবে না। সে সময় পুঁজিবাজার সুরক্ষায় অনেক আইনকানুন ছিল না। এরপর অনেক আইনকানুন হয়েছে। এখন কেউ চাইলেও আর ম্যানিপুলেট করতে পারবে না। তারপরেও যদিও কেউ করার চেষ্টা করে, তাহলে ধরা পড়ে যাবে।
ডিএসই পরিচালক রকিবুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর এটা করা সম্ভব হলেও পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে ব্যাংকের ২৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ব্যাংকের শেয়ারের প্রতি আস্থা বাড়াতে হলে ব্যাংক খাতে লুটপাট বন্ধ করতে হবে। এখানে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে। দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে হলে ব্যাংকের বিকল্প হিসেবে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে। বর্তমানে দৈনিক লেনদেন ২ থেকে ৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে রয়েছে। এটাকে বাড়িয়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ঘরে নিয়ে যেতে হবে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উদেশ্যে তিনি বলেন, সবসময় বাজারে বুঝে-শুনে ও সর্তকতা সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে।
শাকিল রিজভী বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ কখন বাড়বে আর কখন কমবে, সেটা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে বলা সম্ভব না। তবে বিনিয়োগকারীদের সর্তকতার সঙ্গে বিনিয়োগ করতে হবে। আর এই ক্ষেত্রে কোনো মহল যেন কারসাজি না করে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর