Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আজ দেশে আসছে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২১ জানুয়ারি ২০২১ ০৯:০৩

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় ভারত থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে আসছে আজ। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে তৈরি অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিন সকাল ১১টায় রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর সূত্র।

এর আগে বুধবার (২০ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ভারতের উপহার দেওয়া ভ্যাকসিন আসার বিষয়ে জানান স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) ভারত থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। এরপর ২৫ জানুয়ারি ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন আসবে বলে জানিয়েছে বেক্সিমকো কর্তৃপক্ষ। উপহার হিসেবে পাওয়া ভ্যাকসিন ঢাকায় কোল্ড চেইনে রাখার চেষ্টা করছি আমরা। ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জনদের কাছে সেগুলো পাঠানো হবে। ইপিআই কর্মসূচির আওতায় যেভাবে ভ্যাকসিন পাঠানো হয়, সেভাবে পৌঁছে দেওয়া হবে এই ভ্যাকসিন।

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে পাঠানো ২০ লাখ ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন (কোভিশিল্ড) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় হস্তান্তর করা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কাছে ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী ভ্যাকসিনগুলো হস্তান্তর করবেন।

১৯ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, ‘ভারত থেকে আসা ভ্যাকসিন প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি), মহাখালীতে অবস্থিত সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রধান কার্যালয় এবং তেজগাঁওয়ে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির নিজস্ব সংরক্ষণাগারে সংরক্ষণ করা হবে। করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ওয়াক-ইন-কুলে (ছোট ঘরের মধ্যে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণ) রাখা হয়। বর্তমানে ২৯টি জেলায় ওয়াক-ইন-কুল আছে। আরও ১৮টি জেলায় ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য ওয়াক-ইন-কুল তৈরি হচ্ছে। আরও বেশি ভ্যাকসিন আসার আগেই এগুলো তৈরি হয়ে যাবে বলে আশা করছি।‘

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে ভারতের সিরাম ইনস্টিউটের কাছ থেকে ৩ কোটি ডোজ করোনা ভ্যাকসিন কিনতে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়। ভারতের সিরামের সঙ্গে ওই চুক্তির দেশীয় দুই অংশীদার হলো বাংলাদেশ সরকার ও বেসরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস।

চুক্তি অনুযায়ী, সিরাম ইনস্টিটিউট উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন দেশে আমদানি করবে বেক্সিমকো ফার্মা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদফতর জানিয়েছে, বেক্সিমকো এই ভ্যাকসিন দেশে আনার পর তাদের নিজেদের ওয়্যারহাউজে সংরক্ষণ করবে। এরপর দেশের নির্ধারিত জেলা ইপিআই কোল্ড স্টোরেজগুলোতে সেগুলো নিজ দায়িত্বেই পৌঁছে দেবে বেক্সিমকো। পরে সেসব ইপিআই কোল্ড স্টোরেজ থেকে ভ্যাকসিন সরকারি ব্যবস্থাপনায় পৌঁছে যাবে ভ্যাকসিনেশন সেন্টারগুলোতে।

সারাবাংলা/এসবি/এমআই

কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর