Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুনামগঞ্জ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২১ জানুয়ারি ২০২১ ১২:০১

সুনামগঞ্জ: জেলা পাসপোর্ট কার্যালয় থেকে প্রতারণার মাধ্যমে দুই রোহিঙ্গা নাগরিকের বাংলাদেশি পাসপোর্ট করার চেষ্টা মামলায় সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়রসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) ওই মামলার নির্ধারিত তারিখে আদালতের বিচারক পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন এবং মামলার পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সুনামগঞ্জ পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক আশেক সুজা মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে তারা হলেন- সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত, এক নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) হোসেন আহমদ রাসেল, পৌরসভার সহকারী কর আদায়কারী পিযুষ কান্তি তালুকদার, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধক ও স্যানিটারি পরিদর্শক মো. সেলিম উদ্দিন এবং জেলা বারের আইনজীবী কাওসার আলম। এই পাঁচজন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি নন। পুলিশ অভিযোগপত্রে তাদের নাম যুক্ত করেছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল জেলা পাসপোর্ট কার্যালয়ে নাম ও ঠিকানা পরিবর্তন করে পাসপোর্ট করতে যান দুই রোহিঙ্গা। তাদের মধ্যে একজন নারী ছিলেন। তারা টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে চার ব্যক্তির সহযোগিতায় সুনামগঞ্জে আসেন। ওই চার ব্যক্তি জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। ওইদিন সকালে পাসপোর্ট করতে গিয়ে তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেন। বিকেলে আবার ছবি তোলা ও আঙ্গুলের ছাপ দিতে পাসপোর্ট কার্যালয়ে গেলে কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। পরে দুই রোহিঙ্গা ও তাদের সহযোগী চার ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন পাসপোর্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

বিজ্ঞাপন

ওইদিনই প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার তেরানগর গ্রামের মো. ফরহাদ আহমদ (৩৬), রামনগর গ্রামের মো. নূর হোসেন (২৩), সুজাতপুর গ্রামের মো. জসিম উদ্দিন (২৪) ও আমির উদ্দিনকে (২৩) আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার।

এর আগে ওই দুই রোহিঙ্গা সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের আলীপাড়া এলাকার বর্তমান বাসিন্দা হিসেবে স্থানীয় কাউন্সিলর হোসেন আহমদ রাসেলের সুপারিশে পৌরসভা থেকে জন্ম সনদ নিয়েছিলেন।

এই মামলায় গত ২১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। এতে এজহারভুক্ত চার আসামি ছাড়াও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়া পাঁচজনের নামও যুক্ত করে পুলিশ। অভিযোগপত্রে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ প্রদান প্রক্রিয়ায় পৌরসভার মেয়র, কাউন্সিলরসহ ওই কর্মকর্তারা যুক্ত আছেন। পরে আইনজীবী কাওসার আলম সেটি সত্যায়িত করেছেন। তাই তাদের নামও অভিযোগপত্রে যুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি শুনেছি। তবে যে ঘটনায় আমার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্তা নেই। যখন এই সনদপত্র দেওয়া হয় তখন আমি ঢাকায় ছিলাম। তখন মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র-১) হোসেন আহমদ রাসেল। তাই এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই যুক্ত নই।

সারাবাংলা/এনএস

আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর