দেশে যারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না
২১ জানুয়ারি ২০২১ ১১:০৬
ঢাকা: যাদের শরীরে একেবারেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নেই তারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। করোনা ভ্যাকসিন সম্পর্কে জানানোর জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, আইসিটি বিভাগ ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের যৌথ আয়োজনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই নেই, যাদের বলা হয় ইমিউন সাপ্রেসেজড গ্রুপ, তারা ভ্যাকসিন পাবেন না। আর এই তালিকায় আছেন যারা ক্যানসারে আক্রান্ত, ক্যানসারের জন্য টার্মিনাল কেয়ারে বা শেষ ধাপে আছেন, অ্যান্টি ক্যানসার ওষুধ খাচ্ছেন বা অ্যান্টি ক্যানসার ড্রাগের চিকিৎসাতে আছেন।
তিনি বলেন, যারা হাই ডোজের স্টেরয়েড নিচ্ছেন, যাদের সাধারণ রোগের ধরন এমন একটা অবস্থায় রয়েছে, যাতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একেবারেই ভেঙে গেছে, তারাও করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না।
তবে এ সংক্রান্ত পুরো গাইডলাইন রয়েছে, সেটা যথাসময়ে সরবরাহ করা হবে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক।
যারা কোভিড-১৯ সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন তারা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন জানিয়ে অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানান, প্যান্ডেমিক বা অতিমারিতে এরকম কোনো আইন নাই যে তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান বলেন, দেশে ৩৭ শতাংশ রয়েছে, যাদের বয়স ১৮ বছরের নিচে, তারাও ভ্যাকসিন পাবে না। কারণ, শিশুদের নিয়ে কোনো ট্রায়াল কোথাও হয়নি। একইভাবে গর্ভবতী নারীরাও ভ্যাকসিন পাবেন না, এই নারীদের নিয়েও কোনো ট্রায়াল হয়নি, সে সংখ্যাটা প্রায় ৫০ লাখ। আবার ৯০ বছরের বেশি বয়স্কদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। আবার এক কোটি মানুষ থাকে দেশের বাইরে, তারাও ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না। সব মিলিয়ে প্রায় ৭ কোটি মানুষ করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রমের বাইরে থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব জিয়াউল আলম।
সারাবাংলা/এসবি/এসএসএ