বিমানবন্দরে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি টাকার প্রতারণা, গ্রেফতার ৩
২১ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:১৫
ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন টার্মিনাল-৩’র বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় দেড়শ’ চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল দর্পণ গ্রুপ নামের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান। ভুক্তভোগীদের এমন অভিযোগে অভিযান চালিয়ে গ্রুপটির মূল হোতাসহ তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দর্পণ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম সোহাগ (৫২), ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেনা জহির (৫০) ও ম্যানেজার মিন্টল রায় ওরফে অপূর্ব রায় (২৮)।
অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক জানান, বুধবার (২০ জানুয়ারি) সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার কানিজ ফাতেমার নির্দেশ ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। প্রতারকরা ভুয়া নিয়োগপত্র ধরিয়ে দিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে।
শেখ ওমর ফারুক বলেন, “ভুয়া প্রতিষ্ঠানটি স্যামসাং গ্রুপের নামে একটি ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার প্রস্তুত করে তাদের অফিসের সামনে ডিজিটাল ব্যানারে ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩-এ দক্ষ ও অদক্ষ লেবার ও সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হবে’ এমন একটি বিজ্ঞাপন ঝুলিয়ে রাখে। এমন চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখে চাকরি প্রত্যাশী ভুক্তভোগী অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে লেবার পদে নিয়োগ দিতে ৫০ হাজার টাকা এবং সুপারভাইজার পদে এক লাখ টাকা করে নিতে থাকে তারা। সেইসঙ্গে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে চাকরির প্রত্যাশীদের আশ্বস্ত করে প্রতারকরা।”
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘তাদের আশ্বাসে শ্রমিক ও সুপারভাইজার পদে নিয়োগের জন্য প্রায় এক থেকে দেড়শ চাকরি প্রত্যাশীরা দর্পণ গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং এমডির কাছে টাকা দেয়। কিন্তু নিয়োগপত্রে উল্লিখিত তারিখে ভুক্তভোগীরা যোগ দিতে গিয়েও যোগদান করতে পারেনি। তাদের চাকরিতে যোগদান না করিয়ে সময় ক্ষেপণ করতে থাকে প্রতারকরা।’
তিনি বলেন, ‘পরে প্রতারকদের দেওয়া নিয়োগের বিষয়ে ভুক্তভোগীরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে যে, শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এ চাকুরি দেওয়ার জন্য কাউকে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়নি। পরে তারা সিআইডির কাছে অভিযোগ জানালে সিআইডি অভিযান চালিয়ে প্রতারকদের গ্রেফতার করে।’ প্রতারক চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান শেখ ওমর ফারুক।
সারাবাংলা/এসএইচ/পিটিএম