পিপলস লিজিংয়ের খেলাপি ২৮০ ব্যক্তিকে হাইকোর্টে তলব
২২ জানুয়ারি ২০২১ ১০:০২
ঢাকা: ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে পাঁচ লাখ বা তার বেশি টাকা নিয়ে ঋণখেলাপি হওয়া ২৮০ জনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিকুইডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী এরশাদুল আলম।
গত বছরের নভেম্বর মাসে কোম্পানি আদালত পিপলস লিজিংয়ের ঋণগ্রহীতাদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে মেজবাহুর রহমান বলেন, ‘আদালত পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড কোম্পানি কাছে ঋণগ্রহীতাদের তালিকা চেয়েছিলেন। পরে সেখানে পাঁচশ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠিানের তালিকা জমা দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকা থেকে সর্বনিম্ন পাঁচ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ঋণখেলাপি হয়েছে এমন এমন ২৮০ জনকে তলব করে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। তাদেরকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।’
জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস লিজিংকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে মেয়াদি আমানত ও বিভিন্ন ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা ধার করে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির আমানত ছিল ২ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। আর ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা, এর মধ্যে খেলাপিই ৭৪৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ খেলাপি ঋণের হার ৬৬ শতাংশ। ২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে লোকসান গোনে প্রতিষ্ঠানটি। খেলাপি প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আদায় করতে না পারায় আমানতকারীদের টাকাও ফেরত দিতে পারছে না।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই পিপলস লিজিং অবসায়নের জন্য আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই দিনই মামলার শুনানি শেষে প্রতিষ্ঠানটি অবসায়নে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয় আদালত। এ ছাড়া অবসায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদার একজনকে অবসায়ক নিয়োগ দিতে বলা হয়। পরে সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিকুইডেটর) হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান খানকে নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এরপর আদালত পিপলস লিজিংয়ের ঋণ গ্রহীতাদের একটা তালিকা চায় সাময়িক অবাসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের কাছে। পরে প্রায় পাঁচশ জনের একটি তালিকা জমা দিলে আদালত বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে