চাল-তেলে বাজার গরম, সবজিতে স্বস্তি
২২ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:৪৮
ঢাকা: চাল ও তেলের বাজার আবারও অস্থির হয়ে উঠেছে। চালের দাম ক্রমাগত বাড়লেও ভোজ্যতেলের দাম ওঠানামার মধ্যে আছে। খোলা বাজারে সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে পুরনো দামে।
রাজধানীর নিউ মার্কেটের খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। গত সপ্তাহে সয়াবিনের দাম ছিল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা। ১২০ থেকে কমে পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। তবে বোতলের সয়াবিন তেল নাম ভেদে ১১০ থেকে ১২০ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে।
নিউমার্কেট কাঁচাবাজারের দোকানী শওকত বলেন, সয়াবিনের দাম এক জায়গাতে স্থির হচ্ছে না। গেল সপ্তাহে বাজার ছিল উঠতি। আবার এই সপ্তাহে বাজার পড়ছে।
আরেক ব্যবসায়ী রতন বলেন, গত সপ্তাহে বোতলের তেলের চেয়েও খোলা বাজারের তেলের দাম বেশি ছিল। এই সপ্তাহে কমলেও আবার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নিউমার্কেট, আজিমপুর এবং হাজারিবাগের সবজি বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, এখানে দাম আগের তুলনায় আরও কমেছে। শীতের সবজির ভরা মৌসুম ও ঢাকার আশপাশের গ্রামাঞ্চল থেকে চাহিদার তুলনায় বেশি যোগান থাকায় সবজির বাজারে এই স্বস্তি বিরাজ করছে।
পুরান ঢাকায় পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা, শিম ২০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, বেগুন, ২০ টাকা, মুলা ১০ টাকা, বড় লাউ ৩০ থেকে ৪০ টাকা, নতুন আলু ২০ টাকা, শালগম ২০ টাকা, কুমড়া ২০ টাকা, ব্রকলি ২০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ১৫ টাকা, লেবু প্রতি হালি ৩০ টাকা, পেঁয়াজ পাতা ১০ টাকা আঁটি, এছাড়াও ৩০ টাকা কেজিতে দেশি পেঁয়াজ, মিসরের পেঁয়াজ ২৫ টাকা, দেশি আদা ৭০ টাকা, চীনা আদা ১৬০ টাকা এবং ভারতীয় রসুন ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি হালি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা। এছাড়া বয়লার মুরগি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, সোনালি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, লেয়ার ১৭০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। হাঁসের পিছ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা এবং কবুতর ১২৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
দোকানিরা বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় দাম কম। শীতের সবজির সরবরাহ বাড়তে থাকলে দাম আরও কমতে থাকবে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৫৯ থেকে ৬০ টাকা, নাজিরশাইল ৫২ থেকে ৬৫ টাকা, স্বর্ণা ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা ও আটাশ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।
নবাবগঞ্জের আড়তদার মিলন বলেন, এখন মৌসুমের শেষ। এজন্য চালের দাম বাড়ছে। তবে চালের সংকট রয়েছে এমনও নয়। একটা গোষ্ঠী সিন্ডিকেট করে বাজার অস্থির করছে। সরকার এখানে নজর দিলেই দাম কমে যাবে।
সারাবাংলা/টিএস/এএম