দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও ১৫ জন মারা গেছেন। আর শনাক্ত হয়েছেন ৬১৯ জন। একই সময়ে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৮৭ জন। সব মিলিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৫ লাখ ৩০ হাজার ৮৯০ জন শনাক্ত হলেন। এর মধ্যে মারা গেলেন ৭ হাজার ৯৮১ জন, সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।
শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ২০০টি ল্যাবে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব ল্যাবের মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৬টি, জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ২৮টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব ৫৬টি। ২০০টি ল্যাবের মধ্যে সরকারি ল্যাব ১৩৩টি, বেসরকারি ৬৭টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় এসব ল্যাবে পরীক্ষার জন্য মোট ১৪ হাজার ৯২৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এদিন মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৮৪৬টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত সারাদেশে ৩৫ লাখ ৩০ হাজার ২৭৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হলো। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৭ লাখ ৬৯ হাজার ৮৭টি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ লাখ ৬১ হাজার ১৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যেসব নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তার মধ্যে ৬১৯টি নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার আগের চেয়েও কমে হয়েছে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতেৃ শনাক্তের হার নেমে এসেছে ১৫ দশমিক ০৪ শতাংশে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৪৮৭ জন করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন, তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত মোট চার লাখ ৭৫ হাজার ৫৬১ জন সুস্থ হলেন। শনাক্তের তুলনায় সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৮৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
এদিকে, গত দিন যে ১৫ জন মারা গেছেন, তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৯৮১ জন করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেলেন। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ। গত দিন মৃত্যুবরণকারী ১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১০ জন, নারী জন। তাদের সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ১৫ জন করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন তাদের ছয় জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০, ৪১ থেকে ৫০ ও ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী তিন জন করে মারা গেছেন। এই ১৫ জনের মধ্যে আট জন ঢাকা বিভাগের, চার জন চট্টগ্রাম বিভাগের। একজন করে মারা গেছেন রাজশাহী, রংপুর ও ময়মনসিংহের।