কারাগারে কয়েদির নারীসঙ্গ: সিনিয়র জেল সুপার ও জেলার প্রত্যাহার
২৪ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:৪১
ঢাকা: গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে হলমার্কের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) তুষার আহমেদকে একজন নারীর সাথে অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায় ও জেলার নূর মোহাম্মদকে প্রত্যাহার করেছে কারা অধিদফতর।
রোববার (২৪ জানুয়ারি) কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন সারাবাংলাকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে দুই জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে কারা অধিদফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট পাঁচজনকে প্রত্যাহার করা হলো।’
এর আগে, গত ১৮ জানুয়ারি এক আদেশে ওই ঘটনায় সহায়তার দায়ে ডেপুটি জেলার মোহাম্মদ সাকলাইন, সার্জেন্ট আব্দুল বারী ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী খলিলুর রহমানকে প্রত্যাহার করে কারা সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়।
গত ৬ জানুয়ারি গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর ভেতরে হলমার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীরের শ্যালক একজন নারীর সাথে অন্তরঙ্গ সময় পার করেন। এ ঘটনায় সহযোগিতা করেন ওই কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়সহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা। এ ঘটনা নিয়ে কারাগারের মধ্যে তোলপাড় শুরু হলে কারা অধিদফতর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
গত ২১ জানুয়ারি অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরারের নেতৃত্বে গঠিত ৩ সদস্যের কমিটি কাশিমপুর গিয়ে তদন্ত করেছেন।
কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান বলেন, ‘তদন্তকাজ চলছে। তিনজনকে এরই মধ্যে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট যেকোন ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকেও প্রয়োজনে অতি দ্রুতই প্রত্যাহার করা হতে পারে।’
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত তদন্ত কমিটিও কাজ করছে বলে জানা গেছে। দুই-একদিনের মধ্যেই তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘কারাগারে হলমার্ক জিএমের নারীসঙ্গ জঘন্য কাজ’
সারাবাংলা/ইউজে/এএম/এমও