Saturday 19 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘চুক্তি মেনে ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দিয়েছে সিরাম’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৫ জানুয়ারি ২০২১ ১২:১৮ | আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:৪৬

ঢাকা: ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট তাদের কমিটমেন্ট অনুযায়ী ৫০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। সামনের মাসে ভ্যাকসিনের পরবর্তী লট বাংলাদেশে আসবে বলে জানিয়েছেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন।

সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে ভ্যাকসিন বহনকারী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এরপর দুপুর ১২টায় বিমানবন্দরে আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান পাপন এসব কথা বলেন।

সরকারের কেনা ৫০ লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছালো দেশে

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘আমরা এখান থেকে (বিমানবন্দর) ভ্যাকসিনগুলো ল্যাবে পাঠাবো। কোল্ড চেইন ব্রেইক না হওয়ার বিষয়টিও আমরা নিশ্চিত করবো। আজকে শুধু ৫০ লাখ এসেছে সরকারের চুক্তি অনুযায়ী, এটা বাংলাদেশের কোথাও আলদাভবে পাওয়া যাবে না।’

বিজ্ঞাপন

নাজমুল হাসান পাপন আরও বলেন, ‘আমরা অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার পর সরকার যেখানে পাঠাতে বলবেন সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আমার ধারণা ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে ওনারা যেখানে পৌঁছে দিতে বলেছেন আমরা সেখানে পৌঁছে দিতে পারব। ভ্যাকসিন বহনকারী প্রতিটি কার্টনে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস রাখা হয়েছে।’ এই ডিভাইস প্রতি পনের মিনিট পর পর সিরাম ইনস্টিটিউটে হালনাগাদ তথ্য পাঠাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার আগ পর্যন্ত সব ধরনের ক্ষয়ক্ষতির দায় বেক্সিমকো নেবে জানিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, ‘এই ডিভাইস প্রতি পনের মিনিট পর পর কোল্ডচেইন বিষয়ক আপডেট দিচ্ছে। আমরা প্রমাণ করব যে পুনে থেকে মুম্বাই, সেখান থেকে ঢাকা হয়ে আমাদের ওয়্যার হাউজ এবং সেখান থেকে জেলা পর্যায়ে পৌঁছুতে কোথাও কোনো কোল্ড চেইন ব্রেক হয়নি। যদি কোনো ড্যামেজ, শর্টেজ বা কোনো রকমের সমস্যা থাকে তাহলে আমরা তা চেঞ্জ করে দেব। ভ্যাকসিন নিয়ে সমস্ত রকমের দায়িত্ব বেক্সিমকোর।’

তিনি বলেন, ‘ওয়্যারহাউজে গেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা ভ্যাকসিনের কার্টনগুলো প্রথম দেখবেন। এরপর প্রত্যেকটি কার্টন খোলা হবে। সেখানে টেম্পারেচার মনিটরিং ডিভাইস দেওয়া আছে প্রতিটি কার্টনের ভেতরে।’

এ দিন ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে বেক্সিমকোর কর্মকর্তাদের পাশাপাশি বিমানবন্দরে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাঠানো ২০ লাখ চার হাজার ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে পৌঁছায়। তেজগাঁওয়ে জেলা ইপিআই স্টোরে এসব ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা আছে।

সারাবাংলা/এসবি/এমও

করোনা ভ্যাকসিন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর