পি কে হালদারের আরও ২ সহযোগী রিমান্ডে
২৫ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:৫৩
ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িত ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) আরও দুই সহযোগীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান আসামিদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন— পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক।
এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি বিকেলে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের গ্রেফতার করে। তাদের বিরুদ্ধে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে, পি কে হালদারের আরও দুই সহযোগী সুকুমার মৃধা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা মৃধাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সেদিন দুপুর সোয়া ১টায় অনুসন্ধান কর্মকর্তা কমিশনের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন তাদের গ্রেফতার করেন। এছাড়া গত ১৩ জানুয়ারি পি কে হালদারের দুর্নীতিতে সহযোগিতা করায় তার বান্ধবী অবন্তিকা বড়াল ও ৪ জানুয়ারি ঘনিষ্ঠজন শঙ্খ বেপারীকে গ্রেফতার করে দুদক। এরপর তাদের বিভিন্ন মেয়েদে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
প্রশান্ত কুমার হালদার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকা অবস্থায় বিভিন্ন ব্যক্তিকে ব্যবহার করে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি আরও ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর গত ৮ জানুয়ারি ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ২৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ অর্জনের দায়ে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি দায়ের করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
সারাবাংলা/এআই/টিআর
দুদক দুর্নীতি দমন কমিশন পি কে হালদার পি কে হালদারের সহযোগী প্রশান্ত কুমার হালদার রিমান্ড