‘করোনাকালীন ব্যর্থতা সরকারের সব ব্যর্থতাকে ছাড়িয়ে গেছে’
২৫ জানুয়ারি ২০২১ ২০:৫৮
ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় ব্যর্থতা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আগের সব ব্যর্থতাকে ছাড়িয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। প্রথমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
রুমিন ফারহানা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, সরকারের সব ব্যর্থতাকে ছাড়িয়ে গেছে করোনাকালীন ব্যর্থতা। শুরু থেকে করোনা পরীক্ষা, মাস্ক, পিপিই, হাসপাতাল শয্যা, অক্সিজেন সরবরাহ, আইসিইউ, প্রণোদনাসহ সব ক্ষেত্রে দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা এই কঠিন সময়কে কঠিনতর করেছে।
রুমিন ফারহানা অভিযোগ করেন, পৃথিবীতে একমাত্র দেশ বাংলাদেশ, যেখানে নকল করোনা সার্টিফিকেট বিক্রি হয়েছে। এই সবকিছুর পরে এখন যুক্ত হয়েছে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা। সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি না করে বেক্সিমকোর সঙ্গে চুক্তি করার কারণে বাংলাদেশকে ভারতের তুলনায় ৪৭ শতাংশ বেশি দামে করোনা টিকা কিনতে হচ্ছে। তাতে ৩২৫ কোটি টাকা যাবে কোম্পানির পকেটে।
বিএনপির সংরক্ষিত আসনের এই সংসদ সদস্যের দাবি— মিথ্যা হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগারে পাঠানো, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনকে দেশে ফিরতে না দেওয়া ও দলের মহাসচিবকে দফায় দফায় জেলে পাঠানোর সবকিছুই হয়েছে বিএনপিকে ধ্বংস করে ফেলার উদ্দেশ্যে।
এসময় ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে ‘স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি’ বলে অভিহিত করায় সংসদ অধিবেশনে কিছুটা উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। পরে আলোচনায় অংশ নিয়ে সকারি দলের সংসদ সদস্যরা বলেন, বিএনপিই সবচেয়ে বড় স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি।
এর আগে, জনমনে সংশয় দূর করতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সংসদ সদস্যদের একদিনে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের আহ্বান জানান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সংসদ সদস্যরা একদিনে ভ্যাকসিন নিলে কারও মধ্যে আর বিভ্রান্তি থাকবে না।’
অর্থ খাতের সমালোচনা করে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ব্যাংকের টাকা নিয়ে কথা এসেছে। পি কে হালদার সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা মেরে দিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক করে কী? হলমার্ক শত শত কোটি টাকা পাচার করেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক কি এসব দেখে না? দুর্নীতির অভিযোগ আসে শুধু রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে। কানাডার বেগম পাড়ায় ২৮টি বাড়ির মধ্যে ২৪টি বাড়িই হচ্ছে সরকারি কর্মচারীদের। আমলারা কি সবকিছুর ঊর্ধ্বে? কোনো কর্মকর্তার ছেলে-মেয়ে বিদেশে পড়ে না? অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর
করোনাকালীন ব্যর্থতা ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা সরকারের ব্যর্থতা সরকারের সমালোচনা সংসদ অধিবেশন