করোনা ভ্যাকসিন বেসরকারি খাতে দেওয়া যাবে না: জিয়াউদ্দিন বাবলু
২৫ জানুয়ারি ২০২১ ২১:৫৭
ঢাকা: করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনকে বেসরকারি খাতে দেওয়া দেওয়ার যেকোনো উদ্যোগের তীব্র বিরোধিতা করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
তিনি বলেন, করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো কেলেঙ্কারি মেনে নেওয়া হবে না। করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কেউ ব্যবসা করবে, আমরা তা চাই না। ভ্যাকসিন বেসরকারি খাতে গেলেই মুনাফালোভীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাবে। তাই কোনোভাবেই করোনা ভ্যাকসিন বেসরকারি খাতে দেওয়া যাবে না। করোনা পরীক্ষা বেসরকারি খাতে দেওয়ার ফলে যে কেলেঙ্কারি হয়েছে, তাতে বিশ্বের কাছে আমাদের মাথা হেট হয়ে গেছে।
সোমবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে জাতীয় যুব সংহতির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি জাপা মহাসচিবকে শুভেচ্ছা জানান। এসময় পরিকল্পনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। যুব সংহতির আহ্বায়ক সাবেক সংসদ সদস্য হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ ও সদস্য সচিব আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীনের নেতৃত্বে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
পরিকল্পনা সভায় জাপা মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশ সরকারি ব্যবস্থাপনায় জনগণের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে। একদিকে গরিব দেশ, তারপর করোনার কারণে বেকারত্ব বেড়ে গেছে। তাই সরকারিভাবেই প্রতিটি মানুষের জন্য করোনা ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে হবে। করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে সরকারের রোডম্যাপ ও স্বচ্ছ পরিকল্পনা দেশবাসীর সামনে তুলে ধরতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু আরও বলে, দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে কোনো চিকিৎসা নেই। সাধারণ মানুষের পক্ষে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া সম্ভব নয়। তাই প্রতিটি হাসাপাতালে করোনাসহ সব চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, ফুটপাতে হকাররা ব্যবসা করতে পারছে না। বাজারে মাছ বেচতেও চাঁদা দিতে হয়। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, দলবাজ ও টেন্ডারবাজমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের হাত শক্তিশালী করতে যুব সংহতি নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক এ আদেল, হেলাল উদ্দিন, মো. হেলাল উদ্দিন, মিজানুর রহমান, ফজলুল হক ফজলু, সাইফুল ইসলাম, আফজাল হোসেন হারুন, শেখ মো. সরোয়ার হোসেন, দ্বীন ইসলাম, রাজা হোসেন রাজা, মুশফিকুর রহমান, আলতাফুর রহমান আলতাফ, ওয়াসিউর রহমান দোলন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর