চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন ভালো হবে: ইসি সচিব
২৬ জানুয়ারি ২০২১ ২০:১২
ঢাকা: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) নির্বাচন ভালো হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। তিনি বলেন, আশা করি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন (চসিক) ভালো হবে। আপনারা সেখানে একটা ভালো নির্বাচন দেখবেন।
মঙ্গলবার(২৬ জানুয়ারি) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে চসিক নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেন, কমিশন থেকে নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি, একটি সুষ্ঠু, প্রতিযোগিতামূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। এ জন্য যা যা উদ্যোগ নেওয়া দরকার, তা নেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চাহিদা দেওয়া হয়েছে, নির্বাচন কমিশন তা অনুমোদন দিয়েছে। তাদের কাছে বাজেটও দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনি এলাকার প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। কেউ শাস্তিযোগ্য অপরাধ করলে তাকে শাস্তি দিতে প্রতি দুইটি ওয়ার্ডের জন্য একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। নিরাপত্তার জন্য যত ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, তার সবটুকুই সেখানে নেওয়া আছে।
ইসি সচিব আরও বলেন, সিটির বাইরের লোক যেন ভোটকেন্দ্রে এসে কোনো ঝামেলা করতে না পারে, সেজন্য শহরে প্রবেশ করার রাস্তাগুলোতে পুলিশি পাহারা থাকবে। ভোটকেন্দ্রের বাইরেও যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বাধা তারা দিতে না পারেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সহিংসতার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, এটা প্রথম দিকে হয়েছিল। তারপর সেখানে সবাই খুব সতর্ক হয়ে গেছেন। এরপর আল্লাহর রহমতে আর কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা আশা করি ওই ধরনের কোনো ঘটনা আর ঘটবে না। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ হাজারের বেশি সদস্য সেখানে নিয়োজিত আছে। ওই ধরনের আর কোনো ঘটনা ঘটবে না বলেই আমরা মনে করি।
ইসি সচিব বলেন, প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৬ জন করে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ জন করে সদস্য থাকবেন।
ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র কতগুলো— জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, এটা তো আপনাদের বলা যাবে না। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র কতগুলো, এটি গোপনীয় তথ্য।
ভোটকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি যা কিছু অনুসরণ করা দরকার, তার সব মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া আছে। ভোটার যখন লাইনে দাঁড়াবেন, তখন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াবেন। ইভিএমে ভোট দেওয়া হবে। তাই ভোট দেওয়ার আগে ও পরে হাত হ্যান্ডওয়াশ করে নেবেন। আর সবাইকে মাস্ক পড়ে যেতে হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ গেলে তাকে ভোট দিতে দেওয়া হবে না বা দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হবে না।
নির্বাচনে সহিংসতা ও অনিয়মের দায় কমিশন এড়াতে পারে না— একজন নির্বাচন কমিশনারের এমন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা কমিশনারই বলতে পারবেন। আমার কোনো বক্তব্য নেই।
ইসি সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হলো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দেওয়া। অর্থাৎ সবার জন্য সমান সুযোগ করে দেওয়া, যেন ভোটাররা ভোট দিতে আসতে পারে, ভোট দিতে পারে, কেউ যেন বাধা না দেয়। সে কারণেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাখা হয়েছে। এমন তো না যে কেউ এলে তাকে দুইটা ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে। এই ধরনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সবার জন্য সমান।
ফাইল ছবি
সারাবাংলা/জিএস/টিআর
ইসি সচিব চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন চসিক নির্বাচন নির্বাচন কমিশন মো. আলমগীর সিনিয়র সচিব