জর্ডানে বিনিয়োগ করে বাংলাদেশিরা সুফল পেতে পারে: রাষ্ট্রদূত
২৬ জানুয়ারি ২০২১ ২২:৪৭
ঢাকা: চামড়াজাত পণ্য, কৃষি পণ্য, ঔষধ ও ফার্মাসিউটিক্যাল দ্রব্যাদি সহ অসংখ্য সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা জর্ডানে নিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারেন। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে সকল পণ্য রফতানিতে জর্ডান শুল্ক মুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। বাংলাদেশিরা চাইলে এই সুযোগ নিতে পারে।
আগামী দিনগুলোতে জর্ডানে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার জন্য দূতাবাসের অর্থনৈতিক কূটনীতির আলোকে যৌথভাবে কাজ করার জন্য ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এর সাথে একটি ভার্চুয়াল বৈঠক (জুম ভিত্তিক) অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান এই তথ্য জানান।
ওই বৈঠকে রাষ্ট্রদূত ছাড়াও ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা (প্রথম সচিব) মোঃ বশির এবং বাংলাদেশ দূতাবাস ও ডিসিসিআই’র সংশ্লিষ্ট কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রদূত অনুষ্ঠানে তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘অর্থনৈতিক কূটনীতিকে বেগবান করার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। মুজিব বর্ষ এভং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সামনে রেখে দূতাবাস জর্ডান সরকারে সঙ্গে বিভিন্ন সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করছে, যেখানে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ককে গতিশীল করার ওপর জোর দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জর্ডানে তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, কৃষি পণ্য, ঔষধ ও ফার্মাসিউটিক্যাল দ্রব্যাদি সহ অসংখ্য সম্ভাবনাময় খাত রয়েছে, যেখানে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের মাধ্যমে লাভবান হতে পারেন।’
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, অর্থনৈতিক কূটনীতিকে জোরদার ও সফল করার জন্য বেসরকারিখাতের অবদান খুবই জরুরি। এ পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদূত অর্থনৈতিক কূটনীতিকে কার্যকর করার জন্য বেসরকারি খাত ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একত্রে কাজ করার জন্য অঙ্গীকার করেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে সকল পণ্য রফতানতে জর্ডান শুল্ক মুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। তিনি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এ সুযোগ গ্রহণের লক্ষ্যে জর্ডানে আরও বেশি হারে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, ‘ঢাকা চেম্বার এরইমধ্যে প্রথমবারের মতো ‘ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভ’-এর আয়োজন করেছে, যেখানে বাংলাদেশ সহ ১০টি দেশের উদ্যোক্তারা অংশ নেন এবং আগামীতে এ ধরনের আয়োজনে জর্ডানের উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণের বিষয়ে দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ দূতাবাস, ডিসিসিআই এবং জর্ডানের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে কিছু ভার্চুয়াল বৈঠক আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে, যেখানে দুদেশের উদ্যোক্তাদের সম্পর্ক উন্নয়ন হবে এবং সম্ভাবানময় খাতসমূহে বিনিয়োগের সম্ভবনা বৃদ্ধি পাবে।’
ডিসিসিআই সভাপতি দুদেশের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বিনিময়ের ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘অর্থনৈতিক সহযোগিতার পাশাপাশি দুদেশের মধ্যকার সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও সুদৃঢ় করা সম্ভব হলে, তা ব্যবসায়িক কার্যক্রম সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।’
ডিসিসিআই সভাপতি জানান, মুজিববর্ষ উদযাপন সামনে রেখে ডিসিসিআই-এর পক্ষ হতে এ বছর প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ‘ডিসিসিআই ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ আয়োজন করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ/জেআইএল/একে