Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বন বিভাগই বনের সবচে বেশি ক্ষতি করেছে’

ঢাবি করেসপেন্ডেন্ট
২৭ জানুয়ারি ২০২১ ১৯:০১

ঢাকা: বন রক্ষা করা বন বিভাগের দায়িত্ব, অথচ বন বিভাগই বনের সবচে বেশি ক্ষতি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে `টাঙ্গাইলের মধুপুরে জাতীয় উদ্যান ও সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণার নামে আদিবাসীদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদ-ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ’ জানিয়ে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, পরিসংখ্যান-গবেষণা দিয়ে সহজেই প্রমাণ করা যায় যে, বনের শত্রু কারা এবং মিত্র কারা! বন বিভাগই দেশের বনের সবচে বেশি ক্ষতি করেছে।

বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, এএলআরডি, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, ব্লাস্ট, বেলা, নিজেরা করি ও নাগরিক উদ্যোগসহ বিভিন্ন সংগঠন এই কর্মসূচির আয়োজন করে।

বন বিভাগের কর্মচারী-কর্মকর্তারাই বনাঞ্চলের সবচে বেশি ক্ষতি করেছে উল্লেখ করে তাদের শাস্তি দাবি করেন অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। তিনি বলেন, `আমরা বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীর শাস্তি দাবি করছি। কারণ, এরা বনাঞ্চলের যে পরিমাণ ক্ষতিসাধন করেছে, তা অন্য কেউ করেনি।`

কর্মসূচির শুরুতেই ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ পেশ করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং। তিনি অবিলম্বে মধুপুর বন ও গড়াঞ্চলে বসবাসরত আদীবাসীদের ভূমির অধিকার, বনের ওপর স্বতঃসিদ্ধ অধিকার এবং প্রথাগত ও ঐতিহ্যগত অধিকার স্বীকার করার দাবি জানান। দাবি আদায়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন সঞ্জীব দ্রং।

মধুপুরে আদিবাসী উচ্ছেদ প্রসঙ্গে নাট্যব্যক্তিত্ব ও কলামিস্ট মামুনুর রশীদ বলেন, আজকে আমরা দেখছি, মধুপুরের আদীবাসীদের তাদের জায়গা থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। অথচ তারা সেখানে প্রায় ৭০০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন। তারা সে সময় থেকেই বনকে পাহারা দিয়ে আসছেন।

বিজ্ঞাপন

আদিবাসী ফোরামের ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক রিপন চন্দ্র বানাই-এর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সৌরভ সিকদার, নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন, ব্লাস্টের আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জীসহ অনেকে।

সারাবাংলা/আরআর/এমআই

বন বন বিভাগ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর