বিএনপির আমলে জনগণের ভোটের অধিকার ছিল না: আইনমন্ত্রী
২৭ জানুয়ারি ২০২১ ২২:২৩
ঢাকা: আইন বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু করতে হয় সেটা কারও কাছ থেকে শেখার প্রয়োজন নেই। বিএনপি নেতাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত ছিল যে, আমরা নির্বাচন করছি। তাদের শাসন আমলে জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার চলে গিয়েছিল। আমরা সেই অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উপস্থাপন করলে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তা করেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা। প্রস্তাবের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানা নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। তাদের বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্যরা নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। আমরা জিয়াউর রহমানের ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোট দেখেছি। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনও দেখেছি। সব দেখেই এখানে এসেছি। ব্যালট বাক্স পাওয়া যেত না। এই যাদের ইতিহাস, তাদের কাছ থেকে অন্তত আমাদের নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু করতে হয়, সেটি শেখার প্রয়োজন নেই। ওনাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত ছিল, যে আমরা নির্বাচন করছি, জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার চলে গিয়েছিল, সেই অধিকার আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি।’
আইনমন্ত্রীর বক্তব্যেও আগে বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, ‘আইন করে কী করব? সংবিধানের সংশোধনী নিয়ে আসুন। সংবিধানের ১১তম অনুচ্ছেদে বলা হচ্ছে, প্রশাসনের সর্বস্তরে নির্বাচিত প্রতিনিধিরাই তারা দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু আজকে নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে। নির্বাচনের নামে দেশে তামাশা হচ্ছে ভোটারদের সঙ্গে। সুতরাং আপনি আইনটা সংশোধন করে আইন নিয়ে আসেন। সংসদ নেতা প্রশাসনে যে যে জায়গায় বাছাই করে নিয়োগ দেবে তারাই দায়িত্ব পালন করবে তাহলে তো ভোটের নামে তামাশা, ভোটের নামে প্রহসন করার কোনো প্রয়োজন নেই। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হচ্ছে সেখানে নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে। আমি একটুও অসত্য বলছি না যদি অসত্য বলি এক্সপান্স করে দেবেন। তথ্যসহই বলছি।’
রুমিন ফারহানা কবিতার মত বলেন, ‘এখন অবস্থা এমন হয়েছে যে সুষ্ঠু হয়েছে নির্বাচন। ভোট দিয়েছে প্রশাসন। তাকিয়ে ছিল জনগণ। ভোট যদি এরকম না করে তাহলেই হয়। আর ভোট দেওয়া কারও কাছ থেকে শিখতে হবে কেন? ভোটটা যদি ভোটার তার পছন্দমত প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে এইটুক সুযোগ দেওয়া হয়। যদি ব্যালট বাক্স আগে ভরে না রাখা হয় যদি নৌকা মানেই জেতা এই অবস্থা না করা হয় তাহলেই হবে। ভোট কারও কাছ থেকে শিখতে হবে না। ভোট কীভাবে হয় সারাবিশ্ব জানে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে যদি ভোট কারও কাছ থেকে শিখতে হয় তাহলে এর চেয়ে বড় দুঃখজনক।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে