Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সবারটা নিশ্চিত হলে তারপর ভ্যাকসিন নেবো: সেব্রিনা ফ্লোরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৮ জানুয়ারি ২০২১ ০১:৫১

ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সবারটা নিশ্চিত হলে তারপর নিজে ভ্যাকসিন নেবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে এ কথা বলেন অধ্যাপক ফ্লোরা।

ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ভ্যাকসিন নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে এমন কোনো কথা নেই। একটা কথা পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন, কোনো ভ্যাকসিনে মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও হতে পারে। শিশুদের যখন ভ্যাকসিন দেয়া হয় তখন ভ্যাকসিন গ্রহণের জায়গায় ব্যথা হওয়া, জ্বর জ্বর ভাব হওয়া ও গা ব্যথা করা এই ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে। আমরা মনে করি, এটা এখানেও থাকতে পারে। মারাত্মক কোনো কিছু আছে কিনা সেদিকে দৃষ্টিপাত করছি।

তিনি বলেন, আজ খুব সফল একটা অনুষ্ঠান হয়েছে। এটা আসলে আনুষ্ঠানিকতা। অল্প কিছু মানুষকে ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের সামনে টার্গেট হচ্ছে বাংলাদেশের ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা। যারা ভ্যাকসিন দিতে চেয়েছেন তাদের সবাইকে দেওয়া হয়েছে। তাদের কারো মধ্যেই উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অন্যান্য কোনো সমস্যা যদি দেখা দেয় তবে আমাদের টিম প্রস্তুত আছে। কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে কী ম্যানেজমেন্ট করা লাগবে সেজন্য করোনা ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের ফলোআপ করা হবে। ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্র, আইইডিসিআর, ১০৬৫৫, স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং ৩৩৩ এই নম্বরগুলোতে যোগাযোগ করলে পরামর্শ দেয়া হবে সবাইকে।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক ফ্লোরা বলেন, ২৮ জানুয়ারি আরও কয়েকটি হাসপাতালে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। এর পরে আমরা পুরো বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবো। কোনো জায়গায় আমাদের পরিকল্পনায় কোনো ধরনের পরিবর্তনের প্রয়োজন আছে কিনা সেটা দেখব। সব কিছু ঠিক থাকলে আমরা ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করতে পারি।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই আমাদের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে গেছে। সকল প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে আমরা জেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিন পাঠানো শুরু করতে পারি। এক্ষেত্রে ভ্যাকসিন দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছানোর কাজ করবে বেক্সিমকো করবে। জেলা থেকে উপজেলায় ভ্যাকসিন যাবে সরকারি ব্যবস্থাপনায়। সেটা যাবে নিয়মিত ইপিআই কার্যক্রমের মাধ্যমে।  উপজেলায় পৌঁছানোর পর ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করতে পারবো বলে আশা করি।

আপনি কখন ভ্যাকসিন নিবেন এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, মোটামুটি যখন এনশিউর করব যে সবার ভ্যাকসিন নেয়া হয়েছে, তারপর সবার সঙ্গে আমি নেব।

সারাবাংলা/এসবি

অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা করোনার ভ্যাকসিন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ভ্যাকসিন প্রয়োগ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর