Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মঙ্গলবার বিক্ষোভ, ২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ


১৯ মার্চ ২০১৮ ১৩:৫৩

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: খালেদা জিয়ার জামিনের স্থগিতাদেশের মেওয়াদ বাড়ানোয় আগামী কাল মঙ্গলবার সারাদেশে জেলা সদর ও মহানগর সদর এবং ঢাকা মহানগরের থানায় থানায় বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে  আগামী ২৯ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করবে দলটি।

সোমবার (১৯ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে সোমবার (১৯ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিনের স্থগিতাদেশের মেওয়াদ আগামী ৮ মে পর্যন্ত বাড়ানোর আদেশ দেন।

এ আদেশকে নজিরবিহীন আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জামিন পাওয়াটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা আইনি অধিকার। এখন পর্যন্ত এমন ঘটনা ঘটেনি, ৫ বছর সাজা পাওয়ার পর কারো জামিন আটকে গেছে।’

‘আমরা প্রথম থেকেই লক্ষ করেছি, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার জামিন এবং তাকে কারাগার থেকে বের করে আনার যে আইনি প্রক্রিয়া তাতে শুরু থেকেই অত্যন্ত সচেতনভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে যে পাঁচটি গ্রাউন্ডের ওপর জামিন দিয়েছে, সেই পাঁচটি গ্রাউন্ড পরে খণ্ডন করা হয়নি। আজকে আপিল বিভাগের যে আদেশ, সেই আদেশেও কিন্তু সেই গ্রাউন্ড খণ্ডন করা হয়নি’— বলেন ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ স্বাভাবিকভাবেই ধরে নিয়েছিল খালেদা জিয়া জামিন পাবেন। কিন্তু আজকের এ আদেশে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। দেশের মানুষের শেষ ভরসার স্থল উচ্চ আদালত-আপিল বিভাগ। যেদিন প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে দেশ থেকে চলে যেতে হয়েছে, তাকে বাধ্য করা হয়েছে পদত্যাগ করতে, সেদিন থেকেই আমরা বলেছি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুরোপুরিভাবে চলে গেছে। আজকে সেটা আবারও প্রমাণ হলো।’

‘আমাদের গণতন্ত্র, আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা সবকিছুই প্রায় শেষ হয়ে গেছে। কিছু নেই বললেই চলে। মানুষের আশা-ভরসার স্থল সর্বোচ্চ আদালতে ন্যায়বিচার থেকে আমরা বঞ্চিত হয়েছি।’

‘আমরা কিছু লোককে ভেতরে ঢুকতে দেখেছি আর্মসসহ, অস্ত্রসহ— এটা আমরা দেখেছি। বাংলাদেশ কেন, মনে হয় না পৃথিবীর কোনো আদালতে এমন নজির আছে। এ অবস্থায় দেশ চলে গেছে’— বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন কারাগারে রেখে দেওয়া মানেই হচ্ছে সরকারের সব চেয়ে বড় প্রতিপক্ষ, গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় নেত্রীকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা। খালেদা জিয়াকে কারগারে রাখার একটাই কারণ, নীল নকশা অনুযায়ী একতরফা নির্বাচন করে আবার ক্ষমতায় থেকে যাওয়া।’

‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দেওয়া মানে হচ্ছে গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেকটি মেরে দেওয়া’— এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু আমরা নই, আদালতের বিজ্ঞ আইনজীবীরাও হতভম্ব হয়েছেন খালেদা জিয়ার জামিনের স্থগিতাদেশের মেওয়াদ বাড়ানোয়। এমন ঘটনা অতীকে কেউ ঘটতে দেখেনি।’

সারাবাংলা/এজেড/একে


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর