চার মাস জামিন চাইতে পারবে না ডাক কর্মচারী সারওয়ার
২৯ জানুয়ারি ২০২১ ১০:৫৪
ঢাকা: ডাকঘরের অর্থ আত্মসাতের মামলায় চট্টগ্রাম ডাক বিভাগের কাউন্টার অপারেটর সারওয়ার আলম খানের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ আসামিকে আগামী চার মাস দেশের কোনো আদালতে জামিন আবেদন করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে গত ২৪ জানুয়ারি একই মামলার আরেক আসামি চট্টগ্রাম ডাকঘরের সহকারি পোস্ট মাস্টার নুর মোহাম্মদের ক্ষেত্রে একই আদেশ দেন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ।
জানা যায়, ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছর ২১ অক্টোবর নুর মোহাম্মদ ও সারওয়ার আলম খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় চট্টগ্রাম আদালতে তাদের জামিন আবেদন খারিজ হলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তারা। কেন তাদের জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এই রুল বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে বিচারাধীন। এ অবস্থায় আগের এই রুলের তথ্য গোপন করে একই হাইকোর্ট বেঞ্চে জামিন আবেদন করেন নুর মোহাম্মদ। এবারও আদালত গত ২১ জানুয়ারি জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। এ অবস্থায় নুর মোহাম্মদের ক্ষেত্রে গত ২৪ জানুয়ারির আগে জারি করা দুটি রুলের একটি প্রত্যাহার পূর্বক খারিজ এবং অপরটি সরাসরি খারিজ করে আদেশ দেন।
আবার একই অবস্থায় আরেক আসামি সারওয়ার আলম খান জামিন আবেদন করলে আদালত তাকেও আগামী চার মাস দেশের কোনো আদালতে জামিন চাইতে পারবে মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে জামিন আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রেদওয়ান আহমেদ রানজিব। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৬ আগস্ট রাতে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানার জিপিও কার্যালয়ে আকস্মিক অভিযান চালায় ডাক বিভাগের অভ্যন্তরীণ অডিট শাখার কর্মকর্তারা। এ অভিযানে গ্রাহকের প্রায় ৪৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম জিপিও সঞ্চয় শাখার পোস্টমাস্টার-৬ নুর মোহাম্মদ ও একই শাখার কাউন্টার অপারেটর সারওয়ার আলম খানকে ওই বছরের ১৭ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর নুর মোহাম্মদের কাছ থেকে ২১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ওই রাতেই তাদের কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ