বকা দেওয়ায় মালিককে খুন করে লাশ পুঁতে রাখেন রোহিঙ্গা যুবক
৩০ জানুয়ারি ২০২১ ১৫:১৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় নিখোঁজের একমাস পর মাটি খুঁড়ে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে রোহিঙ্গা যুবকসহ দুজনকে। পুলিশ জানিয়েছে, ক্যাম্প থেকে পালিয়ে অবৈধ পন্থায় গরুর খামারে চাকরি নেওয়া রোহিঙ্গা যুবক সামান্য বকা দেওয়ায় মালিককে ছুরিকাঘাতে খুন করে লাশ পুঁতে রেখেছিলেন।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) গভীর রাতে উপজেলার দরবেশহাট এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে নিজের গরুর খামারের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন লোহাগাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম।
মৃত আনোয়ার হোসেন (৪৫) লোহাগাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন বলেও স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।
খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আনসার উল্লাহ (২১) নামে এক যুবক এবং লোহাগাড়ার দরবেশহাট এলাকার স্থানীয় এক কিশোরকে।
পুলিশ পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম সারাবাংলাকে জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন আনোয়ার হোসেন। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা তদন্ত করতে গিয়ে জানা যায়, ওইদিন থেকে নিখোঁজ আছেন তার গরুর খামারের এক কর্মচারী এবং স্থানীয় এক কিশোরও।
এ তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার ভোরে কুতপালং ক্যাম্পে গিয়ে আনসারউল্লাহকে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে গরুর খামারের পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে আনোয়ারের লাশ উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় ১৬ বছর বয়সী কিশোরকেও, যে আনসারকে ছুরি সরবরাহ করেছিল বলে স্বীকার করেছে।
‘১২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে একজনকে খুঁজে বের করা খুবই দুরূহ ছিল। আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। জিজ্ঞাসাবাদে আনসার উল্লাহ জানিয়েছে, ২০১৭ সালে মায়ানমার থেকে সে কক্সবাজারে এসে কুতপালং ক্যাম্পে বসবাস শুরু করে। বছরখানেক আগে ক্যাম্প থেকে পালিয়ে সাতকানিয়ার কেরাণীহাট আসে। সেখানে কিছুদিন একটি দোকানে চাকরি করে। ঘটনার তিনমাস আগে মাসিক ১২ হাজার টাকা বেতনে আনোয়ারের গরুর খামারে চাকরি নেয়। সেখানে বেতন নিয়ে আনসার ও আনোয়ারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। আনোয়ার তাকে বকা দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সে ছুরিকাঘাত করে আনোয়ারকে খুন করে লাশ মাটিতে পুঁতে রাখে। পরে ক্যাম্পে পালিয়ে যায়।’
গ্রেফতার দুজনকে আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম।
সারাবাংলা/আরডি/একে