খেয়া পারাপারে বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগ
৩১ জানুয়ারি ২০২১ ১৩:১১
বরিশাল: কীর্তনখোলা নদীর বরিশাল-চরকাউয়া খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়াও যাত্রী হয়রানি, যাত্রীদের সঙ্গে অসদাচারণ, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, অদক্ষ চালক ও ত্রুটিযুক্ত ট্রলার দিয়ে নদী পারাপারসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছে যাত্রীরা।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এই ঘাটের ইজারা প্রথা বাতিল করা হয়েছে। যে কারণে মাঝিরা ইচ্ছামাফিক যাত্রী ভাড়া আদায় করছে। সম্প্রতি পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন পরিষদ নামে একটি সংগঠন মাঝিমাল্লাদের নিয়ে মিটিং করে ভাড়া নিধারণ করে দেয়। সে অনুযায়ী প্রতি মানুষের ভাড়া ৩ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি একটি ট্রলারে সর্বোচ্চ যাত্রী হবে ১৮ জন। এই নিয়ম অনুসারে অনেক দিন চলছিল। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে মাঝিমাল্লারা নানা টালবাহানা করছে। খুচরো টাকা নেই বলে ৫ টাকা করে আদায় করছে। এ ছাড়া ২০ থেকে ২৫ জন যাত্রী বহন করছে, যা ঝুঁকির কারণ।
আবুল হোসেন নামের এক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই নদী পারাপার নিয়ে প্রতিদিন বিপত্তিতে পড়তে হয় তাকে। সকালে ৩ টাকা দিয়ে পার হলে বিকালে লাগে ৫ টাকা। আবার কোনো কোনো দিন সকালে ৫ টাকা বিকেলে ৩ টাকা। খুচরা টাকা না থাকাসহ বিভিন্ন অজুহাতে অধিকাংশ সময় অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যায়।’
খেয়াঘাটের মাঝি সবুজ জানান, অতিরিক্ত ভাড়া নেই না। টাকা খুচরা না থাকলে মাঝেমধ্যে ৪-৫ টাকা রাখা হয়। গত ৫ মাস যাবৎ আমরা ৩ টাকা হারে ভাড়া নিচ্ছি।
পূর্বাঞ্চলীয় উন্নয়ন পরিষদ আহ্বায়ক মুনাওয়ারুল ইসলাম অলি বলেন, ‘নির্ধারিত ভাড়া নেওয়ার জন্য মাঝিমাল্লা কমিটিকে বলা হয়েছে।’
সারাবাংলা/একে