Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রায়গঞ্জের ইউএনও-এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জুডিশিয়াল তদন্ত চেয়ে রিট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩১ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:১৯

ঢাকা: সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ইউএনও ও এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৩১ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জনাব মোহাম্মদ শিশির মনির।

বগুড়ার শেরপুর নিবাসী মো. তৌহিদুল ইসলাম বিশ্বাসের পক্ষে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, গত ২ ডিসেম্বর আবেদনকারীর ডেইরি ফার্মে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার এসিল্যান্ড সুবীর কুমার দাসের সঙ্গে আবেদনকারীর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছোট ভাই আহসান হাবিবের সঙ্গে সামান্য ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে আবেদনকারীর আরেক ছোট ভাই একটি সরকারি কলেজের শিক্ষক তারিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়।

কিন্তু ঘটনার ১ ঘণ্টা পর এসিল্যান্ড রায়গঞ্জ থানার ১০ পুলিশ সদস্যকে আবেদনকারীর গ্রামের বাড়িতে পাঠান। পুলিশ সদস্যরা ওই ঘটনা সংক্রান্তে নানা খোঁজ খবর নেন। তারা আহসান হাবিবকে থানায় গিয়ে এসিল্যান্ডের কাছে আরও একবার সরি বলার জন্য বলেন। আহসান যাবেন বলে জানান। এরপরও পুলিশ স্থান ত্যাগ করার সময় আবেদনকারীর আরেক ছোট ভাই আরিফুল ইসলামকে ধরে থানায় নিয়ে যান। পরবর্তীতে উপজেলায় মোবাইল কোর্ট বসিয়ে আরিফুলকে দুইমাসের কারাদণ্ড দেন অ্যাসিল্যান্ড সুবীর কুমার দাশ। একইদিন এসিল্যান্ডের নির্দেশে আবেদনকারীর ভাই তারিকুল ইসলামকেও বেদম প্রহার করা হয়।

রায়গঞ্জ উপজেলার ইউএনও তার প্রশাসনিক ক্ষমতা ব্যবহার করে তারিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রংপুর কারমাইকেল কলেজ, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের চিঠি পাঠান। তিনি আরও একটি চিঠি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ডিন এবং সভাপতি বরাবর পাঠান। উক্ত চিঠিতে তিনি আবেদনকারীর ছোট ভাই আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেন।

মোবাইল কোর্টের আদেশের কপি পাঁচদিনের মধ্যে সরবরাহ করার বিধান থাকলেও ২৩ দিন পর তার আদেশ দেয়। ঘটনার দিন থেকেই আবেদনকারীর পরিবার প্রশাসনিক হুমকির শিকার হচ্ছেন।

উপর্যুক্ত ঘটনার প্রেক্ষাপটে আবেদনকারী জনপ্রশাসন সচিব, জেল প্রশাসক বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু এখনও ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। ঘটনাসমূহের বিচারবিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি তিনি পরিবারের নিরাপত্তাও চেয়েছেন।

আইনজীবী আশা করেন, দ্রুততম সময়ে আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

এ বিষয়ে রায়গঞ্জের এসিল্যান্ড সুবীর কুমার দাস সারাবাংলাকে বলেন, ‘কতটুকু যৌক্তিক গ্রাউন্ড দেখিয়ে রিট করা হয়েছে কাগজপত্র না দেখে তা বলতে পারব না। তবে আমরা বিধির বাইরে কিছু করিনি। যা হয়েছে আইন মেনেই করা হয়েছে।’

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

এসিল্যান্ড হাইকোর্ট


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর