‘বিষ দিন নইলে পরীক্ষা নিন’ — মানববন্ধনে রাবি শিক্ষার্থীরা
৩১ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:৩৩
রাবি: ‘বিষ দিন নইলে পরীক্ষা নিন’ এমন প্ল্যাকার্ড হাতে মানববন্ধন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৬-১৭ সেশনের (চতুর্থ বর্ষের) শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৩১ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহণ এবং আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে রোববার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় জোহা চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের দাবি না মানা হলে কঠোরতম আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণাও দেন তারা।
মানববন্ধনে সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি মহিউদ্দিন মানিকের সঞ্চালনায় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ সাকী বলেন, শিক্ষকরা প্রশাসনে থাকার পরেও আমাদের রাস্তায় নামতে হয়। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের কিছু নেই। আপনারা বলেন যে আপনারা আমাদের পিতৃতুল্য। কিন্তু আপনাদের কথামতো কোনো কাজ আমরা দেখি না। আপনারা আমাদের নিয়ে ভাবেন না। যদি ভাবতেন তাহলে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদেরও পরীক্ষা নিতেন। আপনাদের নিয়োগ বাণিজ্য তো থেমে নেই, সিনেট অধিবেশন থেমে নেই, কার্যবিধি থেমে নেই তাহলে আমাদের পরীক্ষা কেন থেমে আছে? আপনাদের যে সংকীর্ণতা তা পরিহার করে আমাদের কথা ভাবুন। আমরা বাঁচলে রাষ্ট্র বাঁচবে, আমরা বাঁচলে আগামী ভবিষ্যত বাঁচবে।
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শরীফ আহমেদ বলেন, সরকার বলছে তোমরা স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। প্রশাসন তোমাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবে। আবার প্রশাসন বলছে আমরা সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছি। এই যে সরকার ও প্রশাসনের লোফালুফি খেলা- সরকার ছুড়ে দিচ্ছে প্রশাসনের দিকে, প্রশাসন ছুড়ে দিচ্ছে সরকারের দিকে। মাঝখানে পড়ে যে আমাদের হতাশা বাড়ছে, জীবনের আশার আলো স্তিমিত হয়ে যাচ্ছে। দিনশেষে এর দায়ভার কে নিবে?
পপুলেশন সাইন্স বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান বলেন, সরকারি হিসেবে কওমি মাদ্রাসায় প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী। মাদ্রাসা খোলার ৫-৬ মাস পার হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থীর করোনায় আক্রান্তের ঘটনা আমারা দেখিনি। কওমি মাদ্রাসাগুলোতে যেখানে শিক্ষার্থীরা একই রুমে গাদাগাদি করে থাকছে, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে প্রতি রুমে ২ থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী থাকেন। তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল খুলে দিতে সমস্যা কোথায়?
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফিসারিজ বিভাগের শিক্ষার্থী শ্যামল অধিকারী, অর্থনীতি বিভাগের খায়রুল ইসলাম দুখু, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স বিভাগের ইবরাহিম খলিল, ফকলোর বিভাগের আভা প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসএসএ