আদালতের রায় অনুযায়ী ‘পাহাড়তলী বধ্যভূমি’ অধিগ্রহণের দাবি
৩১ জানুয়ারি ২০২১ ২০:৩৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী বধ্যভূমির পুরো জায়গা অধিগ্রহণের দাবি জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এতে বধ্যভূমি এলাকায় একটি জাদুঘর নির্মাণের দাবিও জানানো হয়।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) ‘পাহাড়তলী বধ্যভূমি রক্ষা পরিষদ’ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রহমানের কাছে এ স্মারকলিপি দিয়েছে।
এসময় পাহাড়তলী বধ্যভূমি রক্ষায় উচ্চ আদালতে রিট আবেদনকারী প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন, নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজী, আবৃত্তিশিল্পী রাশেদ হাসান, গণজাগরণ মঞ্চ চট্টগ্রামের সমন্বয়কারী শরীফ চৌহান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক মোস্তফা কামাল যাত্রা ও চারুশিল্পী দীপক কুমার দত্ত উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম নগরীর ফয়স’ লেক এলাকায় এই বধ্যভূমির অবস্থান। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাহাড়তলী বধ্যভূমি সংরক্ষণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর আলোকে জমি অধিগ্রহণ শুরু হলে জাতীয় অধ্যাপক প্রয়াত নুরুল ইসলাম একটি মামলা করেন, কারণ তিনি স্বল্পমূল্যে সেই জমি কিনেছিলেন এবং সেখানে তার প্রতিষ্ঠান ইউএসটিসি ‘জিয়া ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন’ নামে একটি ভবন তৈরি করেছিল।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ২০০১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাহাড়তলী বধ্যভূমি সংরক্ষণের সেই প্রকল্প বাতিল করে।
এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে লেখক প্রফেসর ড. জাফর ইকবাল, প্রফেসর ড. গাজী সালেহ উদ্দিন এবং ইতিহাসবিদ প্রফেসর ড. মুনতাসির মামুন হাইকোর্টে একটি রিট করেন। ২০১৪ সালের ১১ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট বধ্যভূমির ১ একর ৭৫ শতক জায়গা অধিগ্রহণ ও সংরক্ষণের নির্দেশ দেন। কিন্তু সাতবছর পেরিয়ে গেলেও এই বধ্যভূমি অধিগ্রহণ ও সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সংগঠক রাশেদ হাসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট পাহাড়তলী বধ্যভূমির জন্য ১ একর ৭৫ শতক ভূমি অধিগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের একটি দেশব্যাপী নেওয়া একটি সিদ্ধান্তকে ভিত্তি ধরে সংশ্লিষ্টরা পাহাড়তলী বধ্যভূমির জন্য মাত্র পৌনে ২ শতক ভূমি অধিগ্রহণের একটি প্রক্রিয়া চলছে। আমরা মনে করি, এটা ইউএসটিসির স্থাপনা রক্ষার কৌশল এবং এর মাধ্যমে আদালত অবমাননা হচ্ছে।’
সারাবাংলা/আরডি/এমও