অধ্যক্ষকে ঘুষ না দেওয়ায় পেনশন পাননি— সাবেক অধ্যক্ষের অভিযোগ
১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০২:২৭
সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ টি এম সোহেলের বিরুদ্ধে ৩০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ তুলেছেন ওই কলেজেরই সাবেক অধ্যক্ষ এস এম মনোয়ার হোসেন। তার অভিযোগ, ঘুষ না দেওয়ায় অবসর নেওয়ার পর প্রায় ১৩ মাস পেরিয়ে গেলেও অবসরকালীন ভাতা (পেনশন) পাচ্ছেন না তিনি।
রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক কলম সৈনিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন অধ্যাপক এস এম মনোয়ার হোসেন। এসময় কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফাও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর আমি অবসর গ্রহণ করি। এরপর ১ জুলাই বর্তমান অধ্যক্ষ বরাবর পেনশনের সংক্রান্ত ফাইল জমা দিতে গেলে তিনি নেননি। এভাবে কয়েক দফায় ফাইল জমা দিতে গেলেও সেটা গ্রহণ করেননি অধ্যক্ষ সোহেল। পরে ডাকযোগে পেনশন সংক্রান্ত ফাইল বর্তমান অধ্যক্ষ বরার পাঠালেও তিনি আমলে নেননি। ওই ফাইলটি অগ্রায়নের জন্য আমি দফায় দফায় অধ্যক্ষ বরাবর চিঠি দিলে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অসম্পূর্ণ ফাইল উল্লেখ করে আমাকে পাল্টা চিঠি দেন। এভাবে পাল্টা-পাল্টি চিঠি আদান-প্রদানের পর অবশেষে ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পেনশনের ফাইলটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় মাউশিতে পাঠান অধ্যক্ষ সোহেল। এ কারণে আমার পেনশন অনুমোদন প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে।
অধ্যাপক মনোয়ার অভিযোগ করে বলেন, নিজের আস্থাভাজন শিক্ষককে দিয়ে সাবেক উপাধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার কাছে ঘুষের প্রস্তাব দেন অধ্যক্ষ সোহেল। ঘুষের সেই ৩০ লাখ টাকা না দেওয়ার কারণেই তিনি এমন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক উপাধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা বলেন, অভ্যন্তরীণ অডিট চলাকালীন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক সুলতান মাহমুদ আমার কাছে আসেন। মনোয়ার স্যারের পেনশন ও অডিট নিষ্পত্তি করতে ৩০/৩২ লাখ টাকা অধ্যক্ষের টেবিলে রাখতে বলেন তারা।
এদিকে, ঘুষ দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ টি এম সোহেল বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি যথাযথ নিয়মে অধ্যাপক মনোয়ার হোসেনের পেনশন সংক্রান্ত ফাইল মাউশিতে পাঠিয়েছি।
সারাবাংলা/টিআর
৩০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি অধ্যক্ষ টি এম সোহেল অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন ঘুষ দাবি পেনশন সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ