নির্বাচন কমিশনের মামলায় ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ৩ মার্চ
১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:৫৯
ঢাকা: তথ্য গোপন ও জালিয়াতির মাধ্যমে দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩ মার্চ তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মইনুল ইসলাম প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩ মার্চ দিন ঠিক করেন।
গত বছরের ৩০ আগস্ট রাতে বাড্ডা থানায় এই মামলা করেন গুলশান থানার নির্বাচন কর্মকর্তা মমিন মিয়া।
পুলিশ জানায়, জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন-২০১০ এর ১৪ ও ১৫ ধারা অনুযায়ী তথ্য গোপন ও জালিয়াতির অভিযোগে সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। তথ্য গোপন ও জালিয়াতির মাধ্যমে দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার অভিযোগে ডা. সাবরিনার দুইটি এনআইডিই ‘ব্লক’ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়।
মামলায় অভিযোগ বলা হয়, বর্তমান সাবরিনার দু’টি এনআইডি কার্ড সক্রিয়। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিষয়টি টের পাওয়ার পর বিস্তারিত জানতে ইসির কাছে তথ্য চেয়েছে। সাবরিনা ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দ্বিতীয়বার ভোটার হন। তিনি প্রথমে ভোটার হন সাবরীনা শারমিন হোসেন নামে। একটিতে জন্ম তারিখ দেওয়া ১৯৭৮ সালের ২ ডিসেম্বর। অন্যটিতে ১৯৮৩ সালের ২ ডিসেম্বর। প্রথমটিতে স্বামীর নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন আর এইচ হক। আর দ্বিতীয়টিতে স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আরিফুল চৌধুরী।
সারাবাংলা/এআই/এমও