Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভারতীয় শ্রমিকদের আন্দোলন, বেনাপোলে আমদানি-রফতানি বন্ধ

লোকাল করেসপন্ডেন্ট
১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:২৮

বেনাপোল (যশোর): দ্বিতীয় দিনের মত বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ রেখেছেন ভারতের পেট্রাপোল বন্দর জীবন-জীবিকা বাঁচাও কমিটি নামের একটি সংগঠন। আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নানা হয়রানি বন্ধসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন তারা।

তবে আমদানি-রফতানির পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে। রোববার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে সংগঠনটির ডাকা কর্মবিরতির কারণে এ পথে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকায় দুই বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় পণ্য বোঝাই শত শত ট্রাক আটকা পড়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো সমাধান না আসায় বাণিজ্য সচল হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে বড় ধরনের লোকসানের কবলে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। আটকেপড়া পণ্যের মধ্যে পাট ও পাটজাত দ্রব্য, মাছ, শিল্প কলকারখানার কাঁচামাল, তৈরি পোশাক এবং মেশিনারিজসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য রয়েছে।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, প্রতিদিন এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় পাঁচ শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও দেড় শতাধিক ট্রাকে বিভিন্ন পণ্য ভারতে রফতানি হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক কার্যক্রম সম্পাদনে ভারতের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং’র (সিঅ্যান্ডএফ) সদস্যরা বেনাপোল বন্দরে আসা-যাওয়া করতেন। কিন্তু সম্প্রতি নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে তাদের যাতায়াত বন্ধ করে দেয় বিএসএফ। এছাড়া বিএসএফ’র সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া ট্রাক তল্লাশিতে দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ হচ্ছে। এসব সমস্যা সমাধানে আন্তরিক হতে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না আসায় বাধ্য হয়ে বন্দর জীবন-জীবিকা বাঁচাও সংগঠনটি কর্মবিরতি পালন করে আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয়।

বিজ্ঞাপন

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ভারতীয় সংগঠনটির পাঁচ দফা দাবিতে এই কর্মবিরতি পালন করছে। এর মধ্য রয়েছে- সাধারণ ব্যবসায়ী এবং মুদ্রা বিনিময়কারী পরিবহন, ক্লিয়ারিং ও ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট ও ট্রাকচালক সহকারীর ওপর বিএসএফ ও অন্যন্য এজেন্সির কর্তৃক নিরাপত্তার নামে অত্যাচার বন্ধ করা, অবিলম্বে আগের মতো হ্যান্ডকুলি ও পরিবহন কুলিদের কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে দেওয়া, বাণিজ্যিক স্বার্থে আগের মতো পণ্যবাহী চালক ও সহকারীদের হেঁটে পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দরের মধ্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা, বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে যাওয়া ট্রাকগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করার ব্যবস্থা করা এবং আধুনিকতার অজুহাতে বন্দরের শ্রমিকদের কর্মহীন করা চলবে না।

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রফতানি সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন জানান, ভারতীয় সংগঠনটি যৌক্তিক দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছে। তবে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়েছে। সন্তোষজনক সমাধানের মাধ্যমে দ্রুত পণ্য পরিবহন শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব জানান, আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকলেও ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীর যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।

সারাবাংলা/এনএস

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর