ঢাকা: ‘শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে’, বলে আশা প্রকাশ করছেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে বাংলায় কেউ গৃহহীন থাকবে না। ইতোমধ্যে ৭০ হাজার গৃহহীনকে ঘর দেওয়া হয়েছে। আরও এক লাখ ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। মুজিববর্ষে ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এই ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে। বাংলাদেশকে আর পিছিয়ে রাখা যাবে না।’
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনের সমাপণী ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
রেওয়াজ অনুযায়ী অধিবেশ সংসদ নেতার সমাপনী বক্তব্যের আগে বক্তব্য রাখেন বিরোধী দলীয় নেতা। এবারের অধিবেশনে একদিনও বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদেরকে দেখা যায়নি। জি এম কাদের করোনা আক্রান্ত হলেও এখন তিনি করোনামুক্ত।
সমাপনী ভাষণে শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতাদের অনুপস্থিতির কথা তুলে ধরে বলেন, ‘এই অধিবেশন করোনার সময়ে চলছে। যার জন্য হয়তো সব সংসদ সদস্যকে একইসঙ্গে আনা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের বিরোধী দলীয় নেতার এখানে আসার কথা ছিল। কিন্তু তার বাসায় একজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে তিনি জনগণের কথা চিন্তা করে এখানে আসেননি। আমরা তার বক্তৃতা শুনতে পারলাম না এজন্য আমি দুঃখিত। কিন্তু তার ভেতরে যে জনগণের প্রতি কল্যাণমূলক চিন্তার জন্য তাকে ধন্যবাদ। তিনি এলে ভালো হতো আমরা তার বক্তব্যও শুনতে পেতাম।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই অধিবেশনে এতো অল্প সময়ের মধ্যে ১৩২ জন সংসদ সদস্য রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর বক্তব্য দিয়েছেন। কাজেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন।’ করোনাকালে অধিবেশনে পরিচালনার জন্য স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান সংসদ নেতা।