হিযবুত তাহরীরের ২ সদস্যের কারাদণ্ড
২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৫:৩৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দুই বছর আগে গ্রেফতার হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের দুই সদস্যকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের পৃথক দু’টি ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) জেলা জজ পদমর্যাদার চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল হালিম এ রায় দিয়েছেন।
দণ্ডিতরা হলেন- মো. সাইমন আলম চৌধুরী প্রকাশ সাঈম (২৮) ও সিরাজুল ইসলাম (২৯)।
এদের মধ্যে সাইমন নগরীর চান্দগাঁও থানার খাজা রোডের বাসিন্দা মো. রিয়াজুল আলমের ছেলে এবং সিরাজুল রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। সিরাজুল থাকতেন নগরীর চান্দগাঁও থানার চন্দ্রিমা আবাসিক এলাকার ৫ নম্বর সড়কের একটি বাসায়।
মামলার নথিতে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি মনোরঞ্জন দাশ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সাইমন ও সিরাজুল মিলে নগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট মোড়ে খাজা আজমির হোটেলের সামনে হিযবুত তাহরীরের লিফলেট বিলি করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পালানোর চেষ্টা করে। পরে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করে।
এসময় সাইমনের কাছ থেকে হিযবুত তাহরীর উলাহইয়া বাংলাদেশের তিনটি পোস্টার, ইসলামী ইশতেহার নামে একটি ১৭ পাতার বই এবং সিরাজুলের কাছ থেকে হিযবুতের সাংগঠনিক ৯ পাতা ও ৪ পাতার দু’টি বই, ২০ পাতা প্রেস বিজ্ঞপ্তি জব্দ করে পুলিশ। জব্দ করা পোস্টার ও বইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বক্তব্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে উসকানি দিয়ে বিভিন্ন কথাবার্তাও ছিল।
পিপি মনোরঞ্জন আরও জানান, আসামিদের প্রত্যেককে ১০ ধারায় ২ বছর ও ১৩ ধারায় ২ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে উভয়দণ্ড একসঙ্গে কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছেন আদালত।
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারি বরাত ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘অভিযোগ গঠনের পর আসামিপক্ষ মামলা বিচারে স্থিতাবস্থা নেওয়ার জন্য হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। একবছর বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর গত বছরের ৯ নভেম্বর উচ্চ আদালত তিনমাসের মধ্যে মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশনা দেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনমাসের মধ্যেই বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করে রায় দেওয়া হয়েছে।’
দণ্ডিত দুই আসামি গ্রেফতারের পর থেকে কারাগারে আছেন বলেও জানিয়েছেন বরাত ইসলাম।
এর আগে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের জনগণের শান্তি বিঘ্নিত করতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের ষড়যন্ত্র ও প্ররোচিত করার অভিযোগে ২০১৮ সালে দু’জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিপলু বড়ুয়া। ওই মামলা তদন্ত করে পুলিশ ২০১৯ সালের ১২ মে গ্রেফতার দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
একই বছরের ৩ নভেম্বর দুই আসামির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১০ ও ১৩ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ মোট ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে।
সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ