ভুয়া খবর প্রচারে শীর্ষে আল-জাজিরা
২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৭:৪৫
কাতারভিত্তিক মিডিয়া নেটওয়ার্ক আল-জাজিরার বিরুদ্ধে ভুয়া খবর প্রচারের অভিযোগে কয়েকবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ পারস্য উপসাগরীয় কয়েকটি দেশ আল-জাজিরার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগও তুলেছে।
২০১৫ সালের এপ্রিলে আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এবং জম্মু-কাশ্মিরকে বাদ দিয়ে ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশের অভিযোগে পাঁচ দিনের জন্য আল-জাজিরা’র সম্প্রচার বন্ধ রাখা হয়।
১৯৯৬ সালে সম্প্রচারে আসার পর থেকেই নানান সময় বিতর্কিত এবং ভিত্তিহীন খবর প্রকাশের অভিযোগ ওঠে টেলিভিশন নেটওয়ার্কটির বিরুদ্ধে। আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তার এবং আরব দেশগুলোতে সরকার পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন সময় চ্যানেলটিকে ব্যবহার করেছে কাতারের কর্তৃপক্ষ।
বিশেষ করে, আরব বসন্তের প্রাক্কালে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে বিক্ষোভকারীদের উসকে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে আল-জাজিরার বিরুদ্ধে। মিশরের উগ্রপন্থি রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে টেলিভিশন নেটওয়ার্কটির সম্পৃক্ততার খবরও বিভিন্ন সময় সামনে এসেছে।
২০১৭ সালের ৫ জুন চ্যানেলটির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের সমর্থনের অভিযোগে কাতারের ওপর একযোগে অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইন।
এর আগে, ভুয়া খবর প্রচারের অভিযোগে মিশরে আটক হন আল-জাজিরার বেশ কয়েকজন সংবাদিক। ইরাক যুদ্ধের সময় বিতর্কিত সংবাদ প্রচারের অভিযোগে আল-জাজিরার সাংবাদিকদের বহিষ্কার এবং সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় দেশটি।
এছাড়াও, জঙ্গিগোষ্ঠী আল-কায়দাকে সমর্থনের অভিযোগে ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে চ্যানেলটির এক সাংবাদিক স্পেনে আটক হন। ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের অভিযোগে বিভিন্ন সময় আল-জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া, আলজেরিয়া, সুদান, লিবিয়া ও কুয়েতসহ বেশ কয়েকটি দেশ।
বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায় নিয়ে খবর প্রকাশের সময়েও বিতর্কের জন্ম দেয় আল-জাজিরা। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতাদের ইসলামিক স্কলার হিসেবে উল্লেখ করে চ্যানেলটি। ২০১৩ সালে উগ্র ধর্মান্ধগোষ্ঠী হেফাজতে ইসলামের শাপলা চত্বর ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েও উসকানিমূলক খবর প্রকাশ করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক চ্যানেল আল-জাজিরা।
সারাবাংলা/একেএম