ঘুষে মিলত ভালো অডিট রিপোর্ট— পি কে হালদারের সহযোগীর জবানবন্দি
২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৮:২৭
ঢাকা: ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) নির্দেশেই প্রতিষ্ঠানটিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রাশেদুল হক। আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, তাদের প্রতিষ্ঠানে কখনো অডিট হলে ৫/৬ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে তারা ভালো রিপোর্ট করিয়ে নিতেন।
মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে রাশেদুল হককে আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। এসময় রাশেদুল স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে রাশেদুল হক বলেন, পি কে হালদারের নির্দেশে তিনি ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এমডি হিসেবে যোগদান করেছিলাম। অন্যদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে শূর ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. শহিদসহ আরও কয়েকজন পি কে হালদারের মূল হাতিয়ার। তারা পি কে হালদারের হয়ে সব কাজ করতেন।
রাশেদুল হক আরও বলেন, আমাদের ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ে যখন অডিট হতো, দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের ৫/৬ লাখ টাকা ঘুষ দিলেই তারা ভালো রিপোর্ট দিত আমাদের।
এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি বিকেলে সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ারের নেতৃত্বে একটি টিম গ্রেফতার করে রাশেদুল হককে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরদিন পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সারাবাংলা/এআই/টিআর
ইন্টারন্যাশনাল লিজিং পি কে হালদার পি কে হালদারের সহযোগী রাশেদুল হক স্বীকারোক্তি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী